|| তানভীর মাহিম ||
ষড় ঋতুর বাংলাদেশ হলো নৈসর্গিক সৌন্দর্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত এক দেশ। বাংলা সন অনুযায়ী প্রতি দু মাস অন্তর-অন্তর একটি ঋতুর আগমন ঘটে বাংলার বুকে। প্রতিটির ঋতু আগমনের সাথে পরিবর্তনের ছোঁয়া নিয়ে আসে। তখন বদলে যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংজ্ঞা। একেক ঋতুতে প্রকৃতি একেক রকম করে সেজে উঠে। হরেক রকমের এই নৈসর্গিক সাজসজ্জা মাতিয়ে তোলে সবাইকে।
শীতের শেষে তেমনই এক পরিবর্তন নিয়ে প্রকৃতির আবির্ভাব ঘটে বসন্তকালের। এ ঋতুতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রশান্তির হাওয়া। রূক্ষতার মাঝেও সঞ্চার হয় নতুন প্রাণের। কনকনে শীতের শেষে সবার মাঝে নতুন করে চলে আসে প্রাণবন্ততা। এ ঋতুর শুরু হয় সন্ধ্যাবেলার মৃদুমন্দ পূবালী হাওয়া বয়ে চলার মাধ্যমে। সাঁঝের বেলার এ হাওয়া সকলের মাঝে কিঞ্চিত পূলক জাগ্রত করে।
তেমনি প্রাণবন্ততার আভা ছড়িয়ে দিতে লালমাটির ক্যাম্পাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন ঘটে বছর-শেষ ঋতু বসন্তের। চারিদিকে সুনশান নীরবতার মাঝেও বেজে উঠে কোকিলের সুরেলা কণ্ঠ। পত্রপতনশীল প্রতিটি বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা জুড়ে নতুন কুড়ি জন্ম নেয়। শিমুলের ফুল ফোটা শুরু হয়। সবুজের ছোয়া লেগে যায় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। ক্রমান্বয়ে সবুজাভ হতে থাকে কুবির সকল বৃক্ষরাজি।
প্রকৃতির আওভানে মেতে উঠার পাশাপাশি কুবি শিক্ষার্থীরা বসন্তকে বিশেষভাবে ধারণ করে। বসন্তের শুরুতে পোষাকে আসে বাঙালিত্বের ছাপ। শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে শীতশেষ নতুনত্বকে স্বাগতম জানায় সকলে। সেইসাথে নতুনত্বকে ধারন করে সামনে এগিয়ে চলার একটি অভিপ্রায় জাগ্রত হয় হৃদয়পটে।
এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সকল রুষ্টতা ভুলিয়ে সকল শিক্ষার্থীর মনে বসন্ত নেমে আসুক। সকলের হৃদয়কাননে নতুন করে ফুল ফুটে উঠুক। সকলের মাঝে ফুলের সুবাসের ন্যায় শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক
লেখক : তানভীর মাহিম, শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়