গত ১৫ দিনেই শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২টি শিশু ও ১টি নারী।
গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে আশিক মিয়া (২০) নামে এক যুবকসহ ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আশিক উপজেলার টালকী ইউনিয়নের শালুয়া গ্রামের আবু সাইদের ছেলে। আর ওই কিশোরী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। তার বাবা একজন দিনমজুর।
আবার, ৬ বছরের এক শিশুকে বিস্কুট দেওয়ার প্রলোভনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া যায়। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চাঁন মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার চাঁন মিয়া নকলা উপজেলার পাইস্কা গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে।
এরপর, একটি ইটভাটায় এক কিশোরী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে এক শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে। আটক সাব্বির হোসেন গাজী (২০) খুলনার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের সাঈদ গাজীর ছেলে। যে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তাঁর সঙ্গে একই ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো সে। পুলিশ জানায়, শ্রমিক সাব্বির রবিবার (৯মার্চ) বিকেলে এক কিশোরী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নকলা থানা পুলিশ কিশোরী শ্রমিককে উদ্ধার করে এবং ধর্ষণের অভিযোগে সাব্বির হোসেন গাজীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আন্দোলন হচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। এতে অংশ নিচ্ছে শেরপুর জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।