শিরোনাম :
Logo ইবিতে শুরু হয়েছে গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ Logo খুবি উপাচার্যের এবং বিএনসিসি খুলনা ফ্লোটিলা কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  Logo গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে প্রস্তুত ইবি Logo ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির Logo জবিতে আবাসন ভাতা ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে গণভোট কর্মসূচি Logo রাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সোচ্চারের Logo ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের অভিযোগ:জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৪৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্স :

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মিজানুর রহমান এই রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নরহরিদ্রা গ্রামের খোন্দকার আমিরুজ্জামানের ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসমি ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রিজপাড়ায় বসবাস করছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার নৃসিংহপুরে এক বিচারপ্রার্থী নারী চম্পা খাতুনকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করে আবার একই টেবিলে বসে তালাকও দেন ফরিদ। চম্পা খাতুন ঝিনাইদহ শহর সংলগ্ন পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া বটতলা পাড়ার ফারুক হোসেনের মেয়ে।

এদিকে ধর্ষণ মামলার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান। ঝিনাইদহের আদালত মামলাটি অধিকতর তদেন্তর জন্য ডিএনএ টেস্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ডিএনএ টেস্টে ফরিদের কৃতকর্ম প্রমাণিত হয়। এসময় তাকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করেন।

গতকাল বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিামনা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এই মামলায় ফরিদের গাড়িচালক চালক ণ্ডদা বাকড়ী গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিতম না গহওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে। রাষ্ট্র পক্ষে এ্যাড বজলুর রহমান ও আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট নেকবার আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।

ট্যাগস :

ইবিতে শুরু হয়েছে গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৪৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্স :

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মিজানুর রহমান এই রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নরহরিদ্রা গ্রামের খোন্দকার আমিরুজ্জামানের ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসমি ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রিজপাড়ায় বসবাস করছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার নৃসিংহপুরে এক বিচারপ্রার্থী নারী চম্পা খাতুনকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করে আবার একই টেবিলে বসে তালাকও দেন ফরিদ। চম্পা খাতুন ঝিনাইদহ শহর সংলগ্ন পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া বটতলা পাড়ার ফারুক হোসেনের মেয়ে।

এদিকে ধর্ষণ মামলার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান। ঝিনাইদহের আদালত মামলাটি অধিকতর তদেন্তর জন্য ডিএনএ টেস্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ডিএনএ টেস্টে ফরিদের কৃতকর্ম প্রমাণিত হয়। এসময় তাকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করেন।

গতকাল বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিামনা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এই মামলায় ফরিদের গাড়িচালক চালক ণ্ডদা বাকড়ী গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিতম না গহওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে। রাষ্ট্র পক্ষে এ্যাড বজলুর রহমান ও আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট নেকবার আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।