দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা নতুন করে দুর্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে চলেছে, যা রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলোর মানুষের মধ্যে শঙ্কা বাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলোতে সাময়িকভাবে প্লাবন দেখা দিতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, তিস্তা ছাড়াও ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও নদীগুলোর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তবে আগামী দুই দিন পানি সমতল আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী এক দিন পানি সমতল স্থিতিশীল থাকার আভাস দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীর পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। সুরমা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকলেও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে সিলেট জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলও সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদী গঙ্গা ও পদ্মার পানির স্তরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে। তবে এ নদীগুলো এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিস্তা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধির এই প্রবণতা নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে নতুন করে বন্যা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।