এক সময় সুস্থ ও কর্মক্ষম ছিলেন কলিম উল্যাহ (৪০)। কিন্তু হার্নিয়ার অপারেশনের পর হঠাৎ করে এক অজানা বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। একমাত্র বড় সন্তান হিসেবে পরিবারের ভরসা ছিলেন তিনি। আজ সেই কলিম উল্যাহ হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
কলিম উল্যাহ কচুয়ার দোয়াটি বেপারী বাড়ির বাসিন্দা। তার পিতা সফিউল্লাহ একজন দিনমজুর, যিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করে কোনোরকমে সংসার চালাতেন। ছেলের অসুস্থতার পর থেকে পুরো পরিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে চিকিৎসার খরচ, অন্যদিকে সংসারের দায়ভার—সবকিছু মিলিয়ে তারা এখন দিশেহারা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ইতোমধ্যেই কলিম উল্যাহ’র চিকিৎসায় ৬ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু এখনো নিশ্চিত রোগ নির্ণয় ও উন্নত চিকিৎসা জরুরি। দারিদ্র্যের কারণে চিকিৎসা থেমে যেতে বসেছে। তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার বড় কলিম উল্যাহ, এখন তার মা সাজেদা বেগম ছেলের গায়ে হাত বুলিয়ে শুধু কান্নাই করেন। বাবা-মায়ের চোখে এখন শুধুই আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তা।
এমন এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতিতে পরিবারটি সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান মানুষ, মানবিক সংগঠন এবং জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেছে। হয়তো সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় আবারও ফিরে পেতে পারেন একটি জীবন, একটি পরিবার ফিরে পেতে পারে তাদের আশা। যোগাযোগ ও সহায়তার ঠিকানা:নাম: সফিউল্লাহ (পিতা),ঠিকানা: দোয়াটি বেপারী বাড়ি, কচুয়া, চাঁদপুর
মোবাইল/বিকাশ/নগদ নম্বরঃ০১৭১৭৫৩২৭৯১