বীরগঞ্জের একটি স্কুলে কেউ পাস করেনি, হতাশ অভিভাবকরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৫৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৭১৪ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, অংশ নেওয়া ৮ জন পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এটি দিনাজপুর জেলার একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই স্কুলের রেজাল্ট পেয়ে আমরা খুবই হতাশ। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ যাতে অন্ধকারে না পড়ে, সেদিকে শিক্ষা বিভাগ এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।”

ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক নিতাই চন্দ্র রায় এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার কারণে।

এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয়টি সম্প্রতি এমপিও ভুক্ত হয়েছে। শিক্ষকদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং আশা করছি আগামী বছর থেকে ফলাফলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক ও ৬ জন অফিস সহকারী কর্মরত আছেন। একসময় এই বিদ্যালয় ভালো ফলাফলের জন্য পরিচিত থাকলেও চলতি বছরের ফলাফল অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জের একটি স্কুলে কেউ পাস করেনি, হতাশ অভিভাবকরা

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৫৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, অংশ নেওয়া ৮ জন পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এটি দিনাজপুর জেলার একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই স্কুলের রেজাল্ট পেয়ে আমরা খুবই হতাশ। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ যাতে অন্ধকারে না পড়ে, সেদিকে শিক্ষা বিভাগ এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।”

ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক নিতাই চন্দ্র রায় এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার কারণে।

এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয়টি সম্প্রতি এমপিও ভুক্ত হয়েছে। শিক্ষকদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং আশা করছি আগামী বছর থেকে ফলাফলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক ও ৬ জন অফিস সহকারী কর্মরত আছেন। একসময় এই বিদ্যালয় ভালো ফলাফলের জন্য পরিচিত থাকলেও চলতি বছরের ফলাফল অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি করেছে।