শনিবার | ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo নোবিপ্রবিতে শিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন Logo শিবির নেতার বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের অভিযোগ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী 

বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক আজ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১০:১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য রাখবেন।

গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল, যা ইতোমধ্যে সুপারিশ জমা দিয়েছে। তবে এসব সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে। গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাত সদস্যের এই কমিশনের ঘোষণা দেয়।

কমিশনের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং সহসভাপতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্যান্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

কমিশন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে এবং আগামী ছয় মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে তারা রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন, সংবিধান, পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সংস্কারের সুপারিশ করবে।

আজকের বৈঠকে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দল, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “যত উদ্যোগই নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে না।” কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সও দ্রুত নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যদি সত্যিকারের রাজনৈতিক সংলাপের সুযোগ তৈরি করতে পারে, তবে এটি সংস্কারের পথে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত

বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক আজ

আপডেট সময় : ১০:১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য রাখবেন।

গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল, যা ইতোমধ্যে সুপারিশ জমা দিয়েছে। তবে এসব সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে। গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাত সদস্যের এই কমিশনের ঘোষণা দেয়।

কমিশনের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং সহসভাপতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্যান্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

কমিশন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে এবং আগামী ছয় মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে তারা রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন, সংবিধান, পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সংস্কারের সুপারিশ করবে।

আজকের বৈঠকে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দল, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “যত উদ্যোগই নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে না।” কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সও দ্রুত নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যদি সত্যিকারের রাজনৈতিক সংলাপের সুযোগ তৈরি করতে পারে, তবে এটি সংস্কারের পথে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।