শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর পুলিশ লাইন্সে পবিত্র ঈদুল আযহা’র জামাত অনুষ্ঠিত ও পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা বিনিময় Logo ঈদ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা কারাগারে উৎসবের ছোঁয়া Logo লস অ্যাঞ্জেলেস বিক্ষোভে উত্তাল, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন ট্রাম্পের Logo ঈদের ফিরতি যাত্রায় ট্রেনে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের Logo সব সিটিতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ Logo আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন সারাদেশে কেমন থাকবে আবহাওয়া Logo আলোচিত স্টারলিংক নিয়ে হোয়াইট হাউসের ভয়ংকর তথ্য ফাঁস Logo ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিন নিহত ৭৫ Logo তিন প্রজন্ম নিয়ে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করলেন মুশফিক Logo প্রিয় পশুটিকে সঠিক নিয়মে কোরবানি দিয়েছেন-তো?

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫ মামলা, গ্রেফতার ১০০

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে মোট ১১৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করেছে, ৪ আগস্টের পর দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর মোট ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে ঘটনা ঘটেছে। ঐক্য পরিষদ বলছে, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাগুলোর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পত্তি ও উপাসনালয়ের ওপর ২ হাজার ১০টি ঘটনা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ এ বিষয়ে পরিষদের প্রস্তুত করা অভিযোগের তালিকা সংগ্রহ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিটি স্থান ও প্রতিষ্ঠান পুলিশ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে।

এতে আরও বলা হয়, পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ দায়ের করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ১ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬২টি মামলা দায়ের করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে অন্তত ৩৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে দেখেছে যে, হামলাগুলো সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না; বরং তা ছিল রাজনৈতিক ছিল।

পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক, ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক এবং অন্তত ১৬১টি অভিযোগ মিথ্যা বা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

ঐক্য পরিষদের অভিযোগ অনুযায়ী, এক হাজার ৪৫২টি ঘটনা, অর্থাৎ মোট অভিযোগের ৮২ দশমিক ৮ শতাংশ, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দিন ঘটে। পরিষদের মতে, ৪ আগস্ট ৬৫টি, ৬ আগস্ট ৭০টি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের কাছে পরিষদের প্রতিবেদনটির একটি কপি রয়েছে।

পরিষদের অভিযোগ ছাড়াও পুলিশ ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ১৩৪টি অভিযোগ পেয়েছে। এসব অভিযোগে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে সাড়া দিয়েছে। এসব অভিযোগে অন্তত ৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ৬৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে মোট ১১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দেশজুড়ে যে কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও লিঙ্গ নির্বিশেষে মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

পুলিশ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ এলে পুলিশ সদরদপ্তরের একটি ফোকাল পয়েন্ট সেই অভিযোগ পরিচালনা করছে। প্রতিটি অভিযোগ সমাধানে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

ট্যাগস :

চাঁদপুর পুলিশ লাইন্সে পবিত্র ঈদুল আযহা’র জামাত অনুষ্ঠিত ও পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা বিনিময়

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫ মামলা, গ্রেফতার ১০০

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে মোট ১১৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করেছে, ৪ আগস্টের পর দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর মোট ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে ঘটনা ঘটেছে। ঐক্য পরিষদ বলছে, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাগুলোর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পত্তি ও উপাসনালয়ের ওপর ২ হাজার ১০টি ঘটনা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ এ বিষয়ে পরিষদের প্রস্তুত করা অভিযোগের তালিকা সংগ্রহ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিটি স্থান ও প্রতিষ্ঠান পুলিশ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে।

এতে আরও বলা হয়, পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ দায়ের করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ১ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬২টি মামলা দায়ের করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে অন্তত ৩৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে দেখেছে যে, হামলাগুলো সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না; বরং তা ছিল রাজনৈতিক ছিল।

পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক, ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক এবং অন্তত ১৬১টি অভিযোগ মিথ্যা বা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

ঐক্য পরিষদের অভিযোগ অনুযায়ী, এক হাজার ৪৫২টি ঘটনা, অর্থাৎ মোট অভিযোগের ৮২ দশমিক ৮ শতাংশ, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দিন ঘটে। পরিষদের মতে, ৪ আগস্ট ৬৫টি, ৬ আগস্ট ৭০টি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের কাছে পরিষদের প্রতিবেদনটির একটি কপি রয়েছে।

পরিষদের অভিযোগ ছাড়াও পুলিশ ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ১৩৪টি অভিযোগ পেয়েছে। এসব অভিযোগে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে সাড়া দিয়েছে। এসব অভিযোগে অন্তত ৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ৬৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে মোট ১১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দেশজুড়ে যে কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও লিঙ্গ নির্বিশেষে মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

পুলিশ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ এলে পুলিশ সদরদপ্তরের একটি ফোকাল পয়েন্ট সেই অভিযোগ পরিচালনা করছে। প্রতিটি অভিযোগ সমাধানে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।