শিরোনাম :
Logo ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পুতিনকে ১০-১২ দিনের সময় দিলেন ট্রাম্প Logo গ্যাসের সিলিন্ডারে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের সময় তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo পঞ্চগড়ের বোদায় ‘নিরাময় ক্লিনিকে’ওয়ার্ড বয়ের অপারেশন, শোচনীয় অবস্থায় রোগী Logo ভারতে যাওয়ার সময় যুবলীগ নেতা আটক Logo বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই সন্ত্রাসবাদের : মার্কিন দূতকে প্রধান উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক সাইফুল সুমনের মায়ের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন Logo কচুয়ার বিতারা বাজারে নতুন ব্রিজ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করলেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী Logo কয়রায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন Logo রাঙ্গামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি Logo বিমান বিধ্বস্তে মারা যাওয়া আট অজ্ঞাতনামা মৃত দেহের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরির অনুমতি

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বাসভবনে প্রবেশ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের জন্য অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী সিউলে ইউনের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের জটলা এড়িয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করলেও প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে। খবর রয়টার্সের

এর আগে, প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস) ইউনের কার্যালয় ও বাসভবনে অনুসন্ধান চালানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রবেশে বাধা দিয়েছিল। এবারও ইউনকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়া হবে কিনা, তা পরিষ্কার ছিল না।

ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে ৩ ডিসেম্বর দেশটিতে সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে বিদ্রোহের মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ও গতিশীল গণতন্ত্রে এই ঘটনা দেশের জনগণকে হতবাক করেছে। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তার এটাই হবে দেশটির ইতিহাসে প্রথম।

শুক্রবার সকালে দুর্নীতির উচ্চপর্যায়ের তদন্ত সংস্থার (সিআইও) কর্মকর্তারা পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের নিয়ে ইউনের বাসভবনে উপস্থিত হন। তবে প্রবেশপথে একটি বাস বাধা সৃষ্টি করলে তারা পায়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন। বাসভবনের অভ্যন্তরে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের তৈরি করা ব্যারিকেডের মুখোমুখি হন তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক সদস্যরা পিএসএসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছিল। বাসভবন তল্লাশির অনুমতি নেই বলেও পিএসএস প্রধান উল্লেখ করেন। ইউনের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি অবৈধ এবং তা কার্যকর করা আইনবিরোধী।

এদিকে ইউনের বাসভবনের বাইরে ভোর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তার সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তারা ‘প্রেসিডেন্ট ইউনকে জনগণ রক্ষা করবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে, ইউন সুক-ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গ্রেপ্তার করা হলে ইউনকে ৪৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী দলকে তাকে আটক রাখার জন্য আদালতে আবেদন করতে হবে অথবা মুক্তি দিতে হবে। গ্রেপ্তার হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পুতিনকে ১০-১২ দিনের সময় দিলেন ট্রাম্প

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৪৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বাসভবনে প্রবেশ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের জন্য অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী সিউলে ইউনের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের জটলা এড়িয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করলেও প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে। খবর রয়টার্সের

এর আগে, প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস) ইউনের কার্যালয় ও বাসভবনে অনুসন্ধান চালানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রবেশে বাধা দিয়েছিল। এবারও ইউনকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়া হবে কিনা, তা পরিষ্কার ছিল না।

ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে ৩ ডিসেম্বর দেশটিতে সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে বিদ্রোহের মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ও গতিশীল গণতন্ত্রে এই ঘটনা দেশের জনগণকে হতবাক করেছে। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তার এটাই হবে দেশটির ইতিহাসে প্রথম।

শুক্রবার সকালে দুর্নীতির উচ্চপর্যায়ের তদন্ত সংস্থার (সিআইও) কর্মকর্তারা পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের নিয়ে ইউনের বাসভবনে উপস্থিত হন। তবে প্রবেশপথে একটি বাস বাধা সৃষ্টি করলে তারা পায়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন। বাসভবনের অভ্যন্তরে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের তৈরি করা ব্যারিকেডের মুখোমুখি হন তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক সদস্যরা পিএসএসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছিল। বাসভবন তল্লাশির অনুমতি নেই বলেও পিএসএস প্রধান উল্লেখ করেন। ইউনের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি অবৈধ এবং তা কার্যকর করা আইনবিরোধী।

এদিকে ইউনের বাসভবনের বাইরে ভোর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তার সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তারা ‘প্রেসিডেন্ট ইউনকে জনগণ রক্ষা করবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে, ইউন সুক-ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গ্রেপ্তার করা হলে ইউনকে ৪৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী দলকে তাকে আটক রাখার জন্য আদালতে আবেদন করতে হবে অথবা মুক্তি দিতে হবে। গ্রেপ্তার হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ।