শিরোনাম :
Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা

সমুদ্রের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:০২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৭২ বার পড়া হয়েছে

সারাবিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন দৃশ্যমান। মনুষ্যসৃষ্ট বহু কারণে পৃথিবীর জলবায়ু ক্রমশই বিরূপ হয়ে উঠছে। এর প্রভাব জলেও পড়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দৈত্যকার তিমিও তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি হাম্পব্যাক তিমির দীর্ঘতম ও অস্বাভাবিক মাত্রার অভিবাসনের তথ্য রেকর্ড করেছেন বলে জানা গেছে। সমুদ্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ার কারণেই তিমিসহ অনেক প্রাণী তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা যে হাম্পব্যাক তিমির আবাসস্থল পরিবর্তনের তথ্য পেয়ে চমকে গেছেন, সেটি ২০১৭ সালে কলম্বিয়ার কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা গিয়েছিলো। সেই একই তিমি ২০২২ সালে ভারত মহাসাগরের জাঞ্জিবারের কাছে দেখা যায়। অর্থাৎ প্রথমবার দেখার পরে ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে দেখা মিলেছে সেই হাম্পব্যাক তিমি।

এরপর বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই অভিযাত্রার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ রয়েছে। সম্ভবত খাদ্য কমে যাওয়ার কারণে বা নতুন সঙ্গী খুঁজে পেতে এমন দূরত্ব অতিক্রম করেছে তিমিটি।
এদিকে হাম্পব্যাক তিমির আবাসস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে তানজানিয়ার বিজ্ঞানী একাটেরিনা কালাশনিকভ বলেন, ঘটনাটি চিত্তাকর্ষক। এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তন পরিযায়ী প্রজাতির প্রাণীর মধ্যেও দেখা যায় না। এটি সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘতম দূরত্ব অতিক্রম করা হাম্পব্যাক তিমি।

উল্লেখ্য, প্রায় সব মহাসাগরেই দেখা যায় হাম্পব্যাক তিমি। প্রতিবছর দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করে তারা। যেকোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর দীর্ঘতম ভ্রমণ ও স্থানান্তরের জন্য এমন তিমি যেমন আলোচিত তেমনি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে প্রজননস্থল থেকে শীতল সমুদ্রে খাবারের খোঁজে এসব তিমি ভ্রমণ বেশি করে থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন

সমুদ্রের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

আপডেট সময় : ১০:৪০:০২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সারাবিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন দৃশ্যমান। মনুষ্যসৃষ্ট বহু কারণে পৃথিবীর জলবায়ু ক্রমশই বিরূপ হয়ে উঠছে। এর প্রভাব জলেও পড়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দৈত্যকার তিমিও তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি হাম্পব্যাক তিমির দীর্ঘতম ও অস্বাভাবিক মাত্রার অভিবাসনের তথ্য রেকর্ড করেছেন বলে জানা গেছে। সমুদ্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ার কারণেই তিমিসহ অনেক প্রাণী তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা যে হাম্পব্যাক তিমির আবাসস্থল পরিবর্তনের তথ্য পেয়ে চমকে গেছেন, সেটি ২০১৭ সালে কলম্বিয়ার কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা গিয়েছিলো। সেই একই তিমি ২০২২ সালে ভারত মহাসাগরের জাঞ্জিবারের কাছে দেখা যায়। অর্থাৎ প্রথমবার দেখার পরে ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে দেখা মিলেছে সেই হাম্পব্যাক তিমি।

এরপর বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই অভিযাত্রার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ রয়েছে। সম্ভবত খাদ্য কমে যাওয়ার কারণে বা নতুন সঙ্গী খুঁজে পেতে এমন দূরত্ব অতিক্রম করেছে তিমিটি।
এদিকে হাম্পব্যাক তিমির আবাসস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে তানজানিয়ার বিজ্ঞানী একাটেরিনা কালাশনিকভ বলেন, ঘটনাটি চিত্তাকর্ষক। এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তন পরিযায়ী প্রজাতির প্রাণীর মধ্যেও দেখা যায় না। এটি সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘতম দূরত্ব অতিক্রম করা হাম্পব্যাক তিমি।

উল্লেখ্য, প্রায় সব মহাসাগরেই দেখা যায় হাম্পব্যাক তিমি। প্রতিবছর দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করে তারা। যেকোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর দীর্ঘতম ভ্রমণ ও স্থানান্তরের জন্য এমন তিমি যেমন আলোচিত তেমনি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে প্রজননস্থল থেকে শীতল সমুদ্রে খাবারের খোঁজে এসব তিমি ভ্রমণ বেশি করে থাকে।