বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সামুদ্রিক কৃমির সন্ধান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

কালের গর্ভে প্রায় ৭০ বছর আগে বিজ্ঞানীদের নজর থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো এক প্রজাতির সামুদ্রিক কৃমি। সেই কৃমিকে আবারও আবিষ্কার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, স্কুবা ডাইভারদের তোলা কিছু ছবিতে এই কৃমির উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে জাপান পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা প্রবালের কলোনিতে সামুদ্রিক ঘোড়ার সঙ্গে সহাবস্থানে ছিলো এই কৃমিরা।

হারিয়ে যাওয়া এই সামুদ্রিক কৃমিটির নাম ‘হাপলোসিলিস অ্যান্থোগোর্জিকোলা’ যা এক ধরনের পলিকীট বা ব্রিসল ওয়ার্ম। এটি শাখাবিশিষ্ট গরগোনিয়ান প্রবালে বাসা বাঁধে এবং প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ১৫টি এরকম কৃমি পাওয়া যায়। এই কৃমির সাধারণ আকার প্রায় ৬ মিলিমিটার বা ০.২৪ ইঞ্চি।

যদিও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৫৬ সালের পর থেকে এটি আর দেখা যায়নি। প্রথমবার কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী হুজিও উতিনোমো এই কৃমিটিকে শনাক্ত করেছিলেন।

ওই গবেষণার প্রধান লেখক এবং জাপানের ওকিনাওয়া ইউনিভার্সিটির মলিকুলার ইনভার্টিব্রেট সিস্টেমেটিকস অ্যান্ড ইকোলজি (MISE) ল্যাবের ডক্টরাল ছাত্রী ক্লোয়ে ফোরো জানান, কৃমিগুলোকে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন কারণ, তাদের আকার ছোট এবং প্রায় স্বচ্ছ। যার কারণে পানির নিচে সহজে নজরে আসে না এগুলো।

গবেষকরা যখন প্রবাল সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠান, তখন সেখানে অসংখ্য ক্ষুদ্রাকৃতি কৃমির উপস্থিতি লক্ষ করেন। প্রতিটি কৃমির দৈর্ঘ্য ছিলো ০.২ ইঞ্চির কম।

ক্লোয়ে আরও জানান, এর আগে একবার আমার ল্যাবমেট আই পিগমি সামুদ্রিক ঘোড়া নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি আমাকে একটি কৃমি দেখিয়েছিলেন যেটি সামুদ্রিক ঘোড়ার প্রবাল বাসস্থানে পাওয়া গিয়েছিলো। প্রবালের মধ্যে বসবাসকারী পিগমি সামুদ্রিক ঘোড়া নিয়ে গবেষণার সময় মূলত কৃমিগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সামুদ্রিক কৃমির সন্ধান

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কালের গর্ভে প্রায় ৭০ বছর আগে বিজ্ঞানীদের নজর থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো এক প্রজাতির সামুদ্রিক কৃমি। সেই কৃমিকে আবারও আবিষ্কার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, স্কুবা ডাইভারদের তোলা কিছু ছবিতে এই কৃমির উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে জাপান পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা প্রবালের কলোনিতে সামুদ্রিক ঘোড়ার সঙ্গে সহাবস্থানে ছিলো এই কৃমিরা।

হারিয়ে যাওয়া এই সামুদ্রিক কৃমিটির নাম ‘হাপলোসিলিস অ্যান্থোগোর্জিকোলা’ যা এক ধরনের পলিকীট বা ব্রিসল ওয়ার্ম। এটি শাখাবিশিষ্ট গরগোনিয়ান প্রবালে বাসা বাঁধে এবং প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ১৫টি এরকম কৃমি পাওয়া যায়। এই কৃমির সাধারণ আকার প্রায় ৬ মিলিমিটার বা ০.২৪ ইঞ্চি।

যদিও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৫৬ সালের পর থেকে এটি আর দেখা যায়নি। প্রথমবার কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী হুজিও উতিনোমো এই কৃমিটিকে শনাক্ত করেছিলেন।

ওই গবেষণার প্রধান লেখক এবং জাপানের ওকিনাওয়া ইউনিভার্সিটির মলিকুলার ইনভার্টিব্রেট সিস্টেমেটিকস অ্যান্ড ইকোলজি (MISE) ল্যাবের ডক্টরাল ছাত্রী ক্লোয়ে ফোরো জানান, কৃমিগুলোকে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন কারণ, তাদের আকার ছোট এবং প্রায় স্বচ্ছ। যার কারণে পানির নিচে সহজে নজরে আসে না এগুলো।

গবেষকরা যখন প্রবাল সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠান, তখন সেখানে অসংখ্য ক্ষুদ্রাকৃতি কৃমির উপস্থিতি লক্ষ করেন। প্রতিটি কৃমির দৈর্ঘ্য ছিলো ০.২ ইঞ্চির কম।

ক্লোয়ে আরও জানান, এর আগে একবার আমার ল্যাবমেট আই পিগমি সামুদ্রিক ঘোড়া নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি আমাকে একটি কৃমি দেখিয়েছিলেন যেটি সামুদ্রিক ঘোড়ার প্রবাল বাসস্থানে পাওয়া গিয়েছিলো। প্রবালের মধ্যে বসবাসকারী পিগমি সামুদ্রিক ঘোড়া নিয়ে গবেষণার সময় মূলত কৃমিগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়।