শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি

লামার সরই ও ফাঁসিয়াখালী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহল : প্রশাসন নিরব

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:০০:৪৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদ উদ্দিন,লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:  লামা উপজেলার সরই ও ফাঁসিয়াখালী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহল।রহস্য জনকভাবে প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করায় সচেতন মহলের মাঝে চাপাক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।সম্প্রতি কালে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এনিয়ে আইন শৃংঙখলা মিটিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী ওঠেছে।
সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয় সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, সরই ইউনিয়নের দুমছাবিল, পুলাংপাড়া, কেয়াবন্যা, হাসনাভিটা, ডলুছড়ি বাজার পাড়া, ঝটকি বনিয়া পাড়া, আমতলী মুসলিম পাড়া, কিল্লাখোলাসহ বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে হরি খালটির মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় জনসাধারণ দাবি করেছেন। শুষ্ক মৌসুমে খালটিতে পানি থাকে না। উত্তোলিত বালু লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়। উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কয়েকটি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, সড়ক ও ব্রিজ। শ্যালো মেশিন দিয়ে পলু খাল, হরি খাল ও ডলু খালের ২৫টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে দিন-রাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় জনসাধারন।
বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত মো. ইদ্রিস কোম্পানি জানান, বালু তোলার অনুমতি নেই। তবে সবাইকে জানিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করলে সমস্যা কি? স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল বালু উত্তোলনের বিরোধীতা করছে।সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আল মজানান, বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তাাঘাটসহ অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা ইউনিয়ন পরিষদকে তোয়াক্কা করছে না।কেয়াজু পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বালু ব্যবসায়ীরা আমাদের নিষেধ মানে না।
অপর দিকে, লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি খাল ও হারগাজা ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহল। কক্সবাজার এলাকার লীজ নিয়ে জোরপূর্বক ভাবে পার্বত্য এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। বালু উত্তোলন এবং রাত–দিন শত শত ট্রাক ও মিনি ট্রাকে পরিবহনের ফলে একদিকে ছড়া ও খালে ভাঙন সৃষ্টি হয়ে জনবসতি এবং আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। অপর দিকে, স্থানীয় গ্রামীন সড়ক গুলো সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে জন দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।স্থানীয় জন প্রতিনিধি সূত্র জানায়, পার্বত্য লামা উপজেলার ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নটি পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়ন সংলগ্ন। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে সরকারি বিধি–বিধানকে বৃদ্ধ্গাুলি দেখিয়ে এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিষেধ অগ্রাহ্য করে ডুলাহাজারা এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেয়া বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি খাল ও হারগাজা ছড়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে চলছে।
জানা গেছে, লামা উপজেলার শেষাংশে রয়েছে কক্সবাজার বনবিভাগ নিয়ন্ত্রিত রিজার্ভ ফরেষ্ট। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাহাড়গুলো লাল বালু দ্বারা সৃষ্ট। ভূ–ঢালু পশ্চিম মুখি হওয়ায় পাহাড়ি ছড়া ও ঝিরিগুলো চকরিয়ামুখি প্রবাহমান হওয়ার কারণে এখানকার লাল বালুগুলো রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার ছড়া ও ঝিরিতে জমা হতো। সেখান থেকে বিগত কয়েকযুগ ধরে বারো মাস বালু উত্তোলন করছে কক্সবাজার ও চকরিয়ার বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল।সাম্প্রতিক সময়ে প্রাকৃতিকভাবে লামা এলাকা থেকে ভেসে যাওয়া বালুর মজুদ সেখানে শেষ হয়ে পড়ে।অপর দিকে, জনবহুল কক্সবাজার জেলাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বালুর চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফাঁসিয়াখালী এলাকা থেকে প্রতিদিন দুই শতাধিক পিকআপ (মিনি ট্রাক) ও ট্রাক বালু উত্তোলন হয়ে পার্শ্ববর্তী ডুলাহাজারার বিভিন্ন এলাকায় মওজুদ হয়। অনেক সময় সরাসরি এ বালু ভোক্তার নিকট চলে যায়। ব্যাপক হারে বগাইছড়ি খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বগাইছড়ি খালের ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। বগাইছড়ি খালের পার্শ্ববর্তী মালুম্মা, কমিউনিটি সেন্টার এবং ছাগখাইয়া ঝিরি এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়িসহ প্রায় ২০ একর ফসলী জমি খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বসতবাড়ি ও আবাদী জমি খালের ভাঙনে বিলীন হওয়ার হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া দিন–রাত মিনি ট্রাক ও ট্রাক যোগে বালু পরিবহনের ফলে স্থানীয় বগাইছড়ি – কালিঝিরি সড়ক এবং হারগাজা– সাপের গাড়া সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বগাইছড়ি খালের উপর প্রায় দু’কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটিও হুমকির মুখে রয়েছে।ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বগাইছড়ি খালে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে জনবসতি ও আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত বালু পরিবহনের ফলে এলাকার সড়ক গুলো চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে এবং একটি ব্রীজ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সায়েদ ইকবাল জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, লামা উপজেলার কোথাও বালু উত্তোলনের পারমিট নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

লামার সরই ও ফাঁসিয়াখালী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহল : প্রশাসন নিরব

আপডেট সময় : ০৮:০০:৪৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

ফরিদ উদ্দিন,লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:  লামা উপজেলার সরই ও ফাঁসিয়াখালী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহল।রহস্য জনকভাবে প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করায় সচেতন মহলের মাঝে চাপাক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।সম্প্রতি কালে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এনিয়ে আইন শৃংঙখলা মিটিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী ওঠেছে।
সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয় সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, সরই ইউনিয়নের দুমছাবিল, পুলাংপাড়া, কেয়াবন্যা, হাসনাভিটা, ডলুছড়ি বাজার পাড়া, ঝটকি বনিয়া পাড়া, আমতলী মুসলিম পাড়া, কিল্লাখোলাসহ বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে হরি খালটির মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় জনসাধারণ দাবি করেছেন। শুষ্ক মৌসুমে খালটিতে পানি থাকে না। উত্তোলিত বালু লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়। উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কয়েকটি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, সড়ক ও ব্রিজ। শ্যালো মেশিন দিয়ে পলু খাল, হরি খাল ও ডলু খালের ২৫টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে দিন-রাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় জনসাধারন।
বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত মো. ইদ্রিস কোম্পানি জানান, বালু তোলার অনুমতি নেই। তবে সবাইকে জানিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করলে সমস্যা কি? স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল বালু উত্তোলনের বিরোধীতা করছে।সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আল মজানান, বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তাাঘাটসহ অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা ইউনিয়ন পরিষদকে তোয়াক্কা করছে না।কেয়াজু পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বালু ব্যবসায়ীরা আমাদের নিষেধ মানে না।
অপর দিকে, লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি খাল ও হারগাজা ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহল। কক্সবাজার এলাকার লীজ নিয়ে জোরপূর্বক ভাবে পার্বত্য এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। বালু উত্তোলন এবং রাত–দিন শত শত ট্রাক ও মিনি ট্রাকে পরিবহনের ফলে একদিকে ছড়া ও খালে ভাঙন সৃষ্টি হয়ে জনবসতি এবং আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। অপর দিকে, স্থানীয় গ্রামীন সড়ক গুলো সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে জন দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।স্থানীয় জন প্রতিনিধি সূত্র জানায়, পার্বত্য লামা উপজেলার ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নটি পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়ন সংলগ্ন। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে সরকারি বিধি–বিধানকে বৃদ্ধ্গাুলি দেখিয়ে এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিষেধ অগ্রাহ্য করে ডুলাহাজারা এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেয়া বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি খাল ও হারগাজা ছড়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে চলছে।
জানা গেছে, লামা উপজেলার শেষাংশে রয়েছে কক্সবাজার বনবিভাগ নিয়ন্ত্রিত রিজার্ভ ফরেষ্ট। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাহাড়গুলো লাল বালু দ্বারা সৃষ্ট। ভূ–ঢালু পশ্চিম মুখি হওয়ায় পাহাড়ি ছড়া ও ঝিরিগুলো চকরিয়ামুখি প্রবাহমান হওয়ার কারণে এখানকার লাল বালুগুলো রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার ছড়া ও ঝিরিতে জমা হতো। সেখান থেকে বিগত কয়েকযুগ ধরে বারো মাস বালু উত্তোলন করছে কক্সবাজার ও চকরিয়ার বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল।সাম্প্রতিক সময়ে প্রাকৃতিকভাবে লামা এলাকা থেকে ভেসে যাওয়া বালুর মজুদ সেখানে শেষ হয়ে পড়ে।অপর দিকে, জনবহুল কক্সবাজার জেলাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বালুর চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফাঁসিয়াখালী এলাকা থেকে প্রতিদিন দুই শতাধিক পিকআপ (মিনি ট্রাক) ও ট্রাক বালু উত্তোলন হয়ে পার্শ্ববর্তী ডুলাহাজারার বিভিন্ন এলাকায় মওজুদ হয়। অনেক সময় সরাসরি এ বালু ভোক্তার নিকট চলে যায়। ব্যাপক হারে বগাইছড়ি খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বগাইছড়ি খালের ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। বগাইছড়ি খালের পার্শ্ববর্তী মালুম্মা, কমিউনিটি সেন্টার এবং ছাগখাইয়া ঝিরি এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়িসহ প্রায় ২০ একর ফসলী জমি খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বসতবাড়ি ও আবাদী জমি খালের ভাঙনে বিলীন হওয়ার হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া দিন–রাত মিনি ট্রাক ও ট্রাক যোগে বালু পরিবহনের ফলে স্থানীয় বগাইছড়ি – কালিঝিরি সড়ক এবং হারগাজা– সাপের গাড়া সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বগাইছড়ি খালের উপর প্রায় দু’কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটিও হুমকির মুখে রয়েছে।ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বগাইছড়ি খালে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে জনবসতি ও আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত বালু পরিবহনের ফলে এলাকার সড়ক গুলো চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে এবং একটি ব্রীজ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সায়েদ ইকবাল জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, লামা উপজেলার কোথাও বালু উত্তোলনের পারমিট নেই।