ঢাকায়  ট্রাফিক সার্জেন্ট কতৃক ফটো সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএমএসএফ

0
11

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ১১ অক্টোবর বিকেলে ঢাকার মৎস ভবনের সামনে  ট্রাফিক সার্জেন্ট কতৃক সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ) ।

বুধবার বিকেলে ঢাকার মৎস ভবনের সামনের সড়কে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মুস্তাইন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক নাসির উদ্দিনের উপর হামলা চালালে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইবুকে ছড়িয়ে পরে। এ বিষয় বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দ এর তীব্র নিন্দা জানান।
ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম [বিএমএসএফ]। বুধবার সন্ধ্যায় সংগঠনের এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর সার্জেন্ট কতৃক সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে  সাধারন সম্পাদক অাহমেদ অাবু জাফর বলেন, সাংবাদিক বিভিন্ন সময় সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অাজ দেশের অভ্যন্তরে জনবান্ধব পুলিশ সাংবাদিকের উপর হামলা চালাচ্ছে অাইন সবার জন্য সমান তাই বলে কি পুলিশ সার্জেন্ট প্রকাশ্যে জন সম্মুক্ষে একজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলবে, সাংবাদিকের উপর হামলা করবে।  অামরা বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে সাংবাদিকের উপর হামলাকারী ঐ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে অাইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি অাকর্ষন করছি।

প্রসংঙ্গত ১১ অক্টোবর বুধবার বিকেলে ঢাকায় মৎস ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে ” দৈনিক মানবজমিন ” প্রত্রিকার সাংবাদিক নাসির উদ্দিন মটর সাইকেল যোগে যাবার সময় রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট মুস্তাকিন তার গাড়ী থামানোর সংকেত দিয়ে গাড়ীর প্রয়োজনীয় কাগজ প্রত্রাদি দেখতেন চান।  এ সময় সাংবাদিক নাসির তার গাড়ী থামিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি সারজেন্ট মুস্তাকিনের নিকট দেন। সারজেন্ট মুস্তাকিন নাসিরের মাথায় হেলমেট না থাকায় তাকে একটি মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিলে সাংবাদিক বিনয়ের সাথে মামলাটি নাদেয়ার জন্য সার্জেন্ট মুস্তাকিনকে অনুরোধ করেন এবং সে সাংবাদিক পরিচয় দেন।  সাংবাদিক পরিচয় দিলে সার্জেন্ট মুস্তাকিন কিসের সাংবাদিক তুই হলুদ সাংবাদিক বললে নাসির তার ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করলে সার্জেন্ট সাংবাদিক নাসিরের জামার কলার ধরে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে অন্য এক কর্মকর্তার হাতে দিয়ে নাসিরকে টেনে হিছড়ে পুলিশ বক্সে নিয়ে যান।  বিষয়টি নাসিরের অফিসের কর্মকর্তাদের জানানো হলে তারা পুলিশ বক্স থেকে নাসিরকে ছাড়িয়ে নেন।  পড়ে পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পেরে সঠিক তদন্তে করে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা সার্জেন্ট মুস্তাকিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অাশ্বাস দেন।