জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মী রিমান্ডে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:২৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাত নেতা-কর্মীর এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপুর আদালত তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মেহরাব হোসেন, আতাউল করীম, আবু বকর সিদ্দিক, আবু জাফর, রেজাউল ইসলাম, আবু তাহের এবং মো. সোলায়মান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই ইমামুল ইসলাম মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির শীর্ষ ১০ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করেই মালিবাগ রেলক্রসিং এলাকা থেকে ঝটিকা মিছিল শুরু করে সংগঠন দুটির অর্ধশত নেতা-কর্মী। তারা তাদের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দাবি করে স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে মালিবাগ মোড়ে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় তাদের সাতজনকে আটক করা হয়।

রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে কদমতলী এলাকায় গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতের মহানগর আমির ও সেক্রেটারিসহ ১০ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে মালিবাগ এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে তাদের কর্মীরা। পুলিশ আগে থেকে সতর্ক থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মী রিমান্ডে !

আপডেট সময় : ০২:০৭:২৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাত নেতা-কর্মীর এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপুর আদালত তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মেহরাব হোসেন, আতাউল করীম, আবু বকর সিদ্দিক, আবু জাফর, রেজাউল ইসলাম, আবু তাহের এবং মো. সোলায়মান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই ইমামুল ইসলাম মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির শীর্ষ ১০ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করেই মালিবাগ রেলক্রসিং এলাকা থেকে ঝটিকা মিছিল শুরু করে সংগঠন দুটির অর্ধশত নেতা-কর্মী। তারা তাদের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দাবি করে স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে মালিবাগ মোড়ে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় তাদের সাতজনকে আটক করা হয়।

রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে কদমতলী এলাকায় গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতের মহানগর আমির ও সেক্রেটারিসহ ১০ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে মালিবাগ এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে তাদের কর্মীরা। পুলিশ আগে থেকে সতর্ক থাকায় তা সম্ভব হয়নি।