শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ Logo সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান: ভারতীয় মদসহ একজন গ্রেফতার Logo বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo সাতক্ষীরায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি পুরস্কার পাচ্ছেন জয়ন্তী ভৌমিক Logo সহপাঠীদের সাথে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য ও দুর্নীতির আখড়া ঝিনাইদহ আনসার অফিস

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

এবার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনে ঘুষ বানিজ্য

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঝিনাইদহ আনসার অফিস। এবার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ৬ লক্ষাধিক টাকা অধিক ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রশিক্ষন বঞ্চিত অনেকের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, আহসান উল্লাহ জেলা আনসার ও ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যে মেতে উঠেন। তিনি আনসার অফিসে শক্তিশালী সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্যে করছেন। ইতিপূর্বে তিনি টেন্ডার বাদে ঝিনাইদহ আনসার ও ভিডিপির অফিসের মোটা মোটা মেহগনি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২০টি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি নিজের সুবিধার জন্য বান্দরবনে পোস্টিংয়ে থাকা ১৪ ব্যাটেলিয়নের সদস্য প্যাথলজি সহকারি নরুল ইসলামকে ঝিনাইদহে বদলি করিয়ে এসেছেন। এই প্যাথলজি সহকারি নুরুলকে দিয়ে ঘুষ বানিজ্যে করাচ্ছেন। নুরু তার প্যাথলজির কোন কাজ করে না।

এ কারনে প্রায় প্যাথলজির কাজে ব্যবহৃত সরকারের কেনা ৫০ লক্ষাধিক টাকা মালামাল নষ্ট হতে চলেছে। এদিকে কোন খেয়াল নেই নুরুল ইসলামের। তিনি জেলা আনসার ও ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে ৬টি থানা অফিসারের মাধ্যমে ৬০জন ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা করে মোট ৬লাখ টাকা অধিক হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি পূজামন্ডবে ডিউটি করার জন্য দুই হাজার ৩৮৪ জন অস্থায়ী ভাবে নিয়োগকৃত আনসারদের কাছ থেকে ৯লাখ টাকা হানিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অফিসের এমন কোন খাত নেই যে তিনি অনিয়ম দুর্নীতি করেন না। এব্যাপারে জেলা কমান্ড্যান্ট আহসান আল্লাহর সাথে অফিস টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুষ নেওয়ার বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, অদক্ষ প্রার্থীসহ অনেকের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না। ফলে তারা নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তবে ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ

ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য ও দুর্নীতির আখড়া ঝিনাইদহ আনসার অফিস

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭

এবার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনে ঘুষ বানিজ্য

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঝিনাইদহ আনসার অফিস। এবার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ৬ লক্ষাধিক টাকা অধিক ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রশিক্ষন বঞ্চিত অনেকের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, আহসান উল্লাহ জেলা আনসার ও ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যে মেতে উঠেন। তিনি আনসার অফিসে শক্তিশালী সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্যে করছেন। ইতিপূর্বে তিনি টেন্ডার বাদে ঝিনাইদহ আনসার ও ভিডিপির অফিসের মোটা মোটা মেহগনি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২০টি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি নিজের সুবিধার জন্য বান্দরবনে পোস্টিংয়ে থাকা ১৪ ব্যাটেলিয়নের সদস্য প্যাথলজি সহকারি নরুল ইসলামকে ঝিনাইদহে বদলি করিয়ে এসেছেন। এই প্যাথলজি সহকারি নুরুলকে দিয়ে ঘুষ বানিজ্যে করাচ্ছেন। নুরু তার প্যাথলজির কোন কাজ করে না।

এ কারনে প্রায় প্যাথলজির কাজে ব্যবহৃত সরকারের কেনা ৫০ লক্ষাধিক টাকা মালামাল নষ্ট হতে চলেছে। এদিকে কোন খেয়াল নেই নুরুল ইসলামের। তিনি জেলা আনসার ও ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে ৬টি থানা অফিসারের মাধ্যমে ৬০জন ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা করে মোট ৬লাখ টাকা অধিক হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি পূজামন্ডবে ডিউটি করার জন্য দুই হাজার ৩৮৪ জন অস্থায়ী ভাবে নিয়োগকৃত আনসারদের কাছ থেকে ৯লাখ টাকা হানিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অফিসের এমন কোন খাত নেই যে তিনি অনিয়ম দুর্নীতি করেন না। এব্যাপারে জেলা কমান্ড্যান্ট আহসান আল্লাহর সাথে অফিস টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুষ নেওয়ার বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, অদক্ষ প্রার্থীসহ অনেকের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না। ফলে তারা নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তবে ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।