শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি

মুজিবনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ ৯ জন আহত

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সংবাদদাতা, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাবুপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের একজন এএসআইসহ নয় জন আহত হয়েছে। ঈদগাহের জমির বিরোধ নিষ্পতি সংক্রান্ত শালিস নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হচ্ছেন- কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মাসুদ রানা, বাবুপুর গ্রামের মগরেব আলী পক্ষের মৃত আরব আলীর ছেলে কিতাব আলী (৪০), বাবু শেখের ছেলে মানিক হোসেন (২৪), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৫)। কালু মিয়া পক্ষের জোনা শেখের ছেলে নজু শেখ (৪০), মৃত আকালী মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ (৪০), খোদা বকসের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৪), আব্দুর কুদ্দুসের ছেলে আব্দুর রাকিব (৩২) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে টুটুল মিয়া (২৭)।
এএসআই মাসুদ রানাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে তাঁর মাথায় ইটের আঘাত লাগে। দু’পক্ষের আহত আট জনকে মুজিবনগর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুপুর গ্রামের ঈদগাহে চলাচলের রাস্তা নিয়ে গ্রামের বসতিপাড়া ও রিফিউজিপাড়ার বাসিন্দাদের মাঝে বিরোধ চলছিলো। মিমাংসার জন্য মহাজনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের বাড়ির পাশে মঙ্গলবার রাতে শালিস বসে। বসতিপাড়ার কালু শেখের লোকজন শালিসে উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ রিফিউজিপাড়ার মগরেব আলীর লোকজন উপস্থিত হননি। এতে শালিসে উত্তেজনা দেখা দেয়। কালু শেখের লোকজন মগরেব আলীর লোকজনকে জোরপুর্বক ধরে আনতে যায়। শালিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাদের চাপ দেয়া হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের লোকজন একেঅপরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। খবর পেয়ে কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এসময় ইটের আঘাতে এএসআই মাসুদ রানা আহত হন। পরে মুজিবনগর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এসময় শহিদুল ইসলাম মেম্বরসহ কয়েকজনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, আহত পুলিশ কর্মতর্কা আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাঁর চিকিৎসা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

মুজিবনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ ৯ জন আহত

আপডেট সময় : ০৫:৫০:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মেহেরপুর সংবাদদাতা, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাবুপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের একজন এএসআইসহ নয় জন আহত হয়েছে। ঈদগাহের জমির বিরোধ নিষ্পতি সংক্রান্ত শালিস নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হচ্ছেন- কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মাসুদ রানা, বাবুপুর গ্রামের মগরেব আলী পক্ষের মৃত আরব আলীর ছেলে কিতাব আলী (৪০), বাবু শেখের ছেলে মানিক হোসেন (২৪), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৫)। কালু মিয়া পক্ষের জোনা শেখের ছেলে নজু শেখ (৪০), মৃত আকালী মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ (৪০), খোদা বকসের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৪), আব্দুর কুদ্দুসের ছেলে আব্দুর রাকিব (৩২) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে টুটুল মিয়া (২৭)।
এএসআই মাসুদ রানাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে তাঁর মাথায় ইটের আঘাত লাগে। দু’পক্ষের আহত আট জনকে মুজিবনগর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুপুর গ্রামের ঈদগাহে চলাচলের রাস্তা নিয়ে গ্রামের বসতিপাড়া ও রিফিউজিপাড়ার বাসিন্দাদের মাঝে বিরোধ চলছিলো। মিমাংসার জন্য মহাজনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের বাড়ির পাশে মঙ্গলবার রাতে শালিস বসে। বসতিপাড়ার কালু শেখের লোকজন শালিসে উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ রিফিউজিপাড়ার মগরেব আলীর লোকজন উপস্থিত হননি। এতে শালিসে উত্তেজনা দেখা দেয়। কালু শেখের লোকজন মগরেব আলীর লোকজনকে জোরপুর্বক ধরে আনতে যায়। শালিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাদের চাপ দেয়া হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের লোকজন একেঅপরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। খবর পেয়ে কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এসময় ইটের আঘাতে এএসআই মাসুদ রানা আহত হন। পরে মুজিবনগর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এসময় শহিদুল ইসলাম মেম্বরসহ কয়েকজনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, আহত পুলিশ কর্মতর্কা আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাঁর চিকিৎসা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।