বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের চোরকোল ইটভাটার সামনে থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল আটকের পর ৪১০ বোতল জমা,

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

বাকি বতল সহ আটক ৪জন গেল কৈ?

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল গ্রামের সাধনা ইটভাটার সামনে থেকে শুক্রবার সকালে তিনবস্তা ফেনসিডিলসহ চারজনকে আটক করার খবর রটেছে। কিন্তু বংকিরা পুলিশ ফাড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ সফিউল আটকের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পে যান। তিনি স্বীকার করেছেন ৪১০ বোতল জব্দ করা হয়েছে। তবে আটক নেই। চোরকোল গ্রামের সাধনা ইটভাটার ম্যানেজার আব্দুল হক জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে একটি পাওয়ার টিলারে করে ফেনসিডিলের একটি বড় চালান কালীগঞ্জ অভিমুখে যাচ্ছিল।এ সময় বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সফিউল পাওয়ার টিলার, তিন বস্তা ফেনসিডিল ও চারজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিষয়টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বহু মানুষ দেখেছে।

ক্যাম্পে কর্মরত অনেক কনস্টেবল এই বিপুল পরিমান ফেনসিডিল গায়েব করার চেষ্টায় ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে। বিষয়টি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখকে জানানো হলে তিনি খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে জানান। এ বিষয়ে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সফিউলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি (০১৭১১-৩৫৩১১৭) ফোন ধরেন নি। একটি সুত্রে জানা গেছে, জীবননগর এলাকা থেকে এই ফেনসিডিলগুলো কালীগঞ্জে যাচ্ছিল। এর আগেও ক্যাম্প ইনচার্জ সফিউল একাধিকবার ফেনসিডিল আটক করে জব্দ তালিকায় কম দেখিয়ে জমা দিয়েছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সিমান্তাবর্তী জেলা হওয়ায় বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পটি টাকা আয়ের জন্য “সোনার খনি” হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে। এই ক্যাম্পে কেও একবার পোস্টিং হলে তারা যেতে চান না এমন কথাও এলাকায় ব্যাপক ভাবে প্রচার আছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

ঝিনাইদহের চোরকোল ইটভাটার সামনে থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল আটকের পর ৪১০ বোতল জমা,

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাকি বতল সহ আটক ৪জন গেল কৈ?

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল গ্রামের সাধনা ইটভাটার সামনে থেকে শুক্রবার সকালে তিনবস্তা ফেনসিডিলসহ চারজনকে আটক করার খবর রটেছে। কিন্তু বংকিরা পুলিশ ফাড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ সফিউল আটকের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পে যান। তিনি স্বীকার করেছেন ৪১০ বোতল জব্দ করা হয়েছে। তবে আটক নেই। চোরকোল গ্রামের সাধনা ইটভাটার ম্যানেজার আব্দুল হক জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে একটি পাওয়ার টিলারে করে ফেনসিডিলের একটি বড় চালান কালীগঞ্জ অভিমুখে যাচ্ছিল।এ সময় বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সফিউল পাওয়ার টিলার, তিন বস্তা ফেনসিডিল ও চারজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিষয়টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বহু মানুষ দেখেছে।

ক্যাম্পে কর্মরত অনেক কনস্টেবল এই বিপুল পরিমান ফেনসিডিল গায়েব করার চেষ্টায় ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে। বিষয়টি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখকে জানানো হলে তিনি খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে জানান। এ বিষয়ে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সফিউলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি (০১৭১১-৩৫৩১১৭) ফোন ধরেন নি। একটি সুত্রে জানা গেছে, জীবননগর এলাকা থেকে এই ফেনসিডিলগুলো কালীগঞ্জে যাচ্ছিল। এর আগেও ক্যাম্প ইনচার্জ সফিউল একাধিকবার ফেনসিডিল আটক করে জব্দ তালিকায় কম দেখিয়ে জমা দিয়েছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সিমান্তাবর্তী জেলা হওয়ায় বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পটি টাকা আয়ের জন্য “সোনার খনি” হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে। এই ক্যাম্পে কেও একবার পোস্টিং হলে তারা যেতে চান না এমন কথাও এলাকায় ব্যাপক ভাবে প্রচার আছে।