৪০ লাখ টাকার সোনাসহ যাত্রী আটক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাতটি সোনার বারসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে ঢাকা কাস্টম হাউজ।
উদ্ধারকৃত সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সিঙ্গাপুর থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে আসা জহিরুল ইসলাম নামে এক যাত্রীর কাছ থেকে ওই সোনা ঊদ্ধার করা হয়। বিমানবন্দর কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার এ এইচ এম আহনাসুল কবির  এসব তথ্য জানিয়েছে।

তিনি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় সিঙ্গাপুর থেকে ইউএস বাংলার বিএস ৩০৮ ফ্লাইটে শাহজালালে বিমানবন্দরে আসে জহিরুল ইসলাম। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রিন চ্যানেলে তাকে সোনা বহনের কথা জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার বহনের কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রিভেনটিভ দল তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে এক্সরে করলে পেটে সোনার অস্তিত্ব পায়।  পরে বিমানবন্দরের টয়লেটে নিয়ে তার পেট থেকে ৭টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। উদ্ধার করা ৭টির সোনার বারের ওজন ৭০০ গ্রাম এবং তার কাছে থাকা আরো ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল ইসলাম জানান, বিমান অবতরণের আধাঘণ্টা পূর্বে তিনি এ সোনা মলদ্বার (রেকটাম) দিয়ে প্রবেশ করান। এ ছাড়া কীভাবে সোনার বার মলদ্বার দিয়ে পেটের ভেতরে ঢোকাতে হয় সে বিষয়ে সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানান। আটক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৪০ লাখ টাকার সোনাসহ যাত্রী আটক !

আপডেট সময় : ১১:২৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাতটি সোনার বারসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে ঢাকা কাস্টম হাউজ।
উদ্ধারকৃত সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সিঙ্গাপুর থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে আসা জহিরুল ইসলাম নামে এক যাত্রীর কাছ থেকে ওই সোনা ঊদ্ধার করা হয়। বিমানবন্দর কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার এ এইচ এম আহনাসুল কবির  এসব তথ্য জানিয়েছে।

তিনি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় সিঙ্গাপুর থেকে ইউএস বাংলার বিএস ৩০৮ ফ্লাইটে শাহজালালে বিমানবন্দরে আসে জহিরুল ইসলাম। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রিন চ্যানেলে তাকে সোনা বহনের কথা জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার বহনের কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রিভেনটিভ দল তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে এক্সরে করলে পেটে সোনার অস্তিত্ব পায়।  পরে বিমানবন্দরের টয়লেটে নিয়ে তার পেট থেকে ৭টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। উদ্ধার করা ৭টির সোনার বারের ওজন ৭০০ গ্রাম এবং তার কাছে থাকা আরো ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল ইসলাম জানান, বিমান অবতরণের আধাঘণ্টা পূর্বে তিনি এ সোনা মলদ্বার (রেকটাম) দিয়ে প্রবেশ করান। এ ছাড়া কীভাবে সোনার বার মলদ্বার দিয়ে পেটের ভেতরে ঢোকাতে হয় সে বিষয়ে সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানান। আটক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।