শিরোনাম :
Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব Logo ভোলার মুহাদ্দিস নোমানী হত্যার বিচারে ইবিতে মানববন্ধন Logo নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিনতাই, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা Logo আজকের ৪টি দ্বিতল বাসের যাত্রা নবদিগন্তের সূচনা : ইবি উপাচার্য Logo সিরাজগঞ্জে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সম্প্রসারিত পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধন Logo শেখহাসিনার ছাত্রলীগ যেই দুঃসাহস করতে পারেনি, সেই দুঃসাহস ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে এখন ছাত্রদল করা শুরু করেছে, পঞ্চগড়ে -সারজিস Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১

ঝিনাইদহে নিহত সেই পোড়াহাটির জঙ্গি আস্তানার মালিক আবদুল্লাহ: মনিরুল

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ মে ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় গতকাল রোববার চালানো অভিযানে নিহত ব্যক্তিদের একজন জঙ্গি আবদুল্লাহ বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। যদিও গত সপ্তাহে তিনি জানিয়েছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অভিযানে আবদুল্লাহ নিহত হন। সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে ঝিনাইদহের অভিযান নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহে যে ব্যক্তি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হয়েছেন, তিনি আবদুল্লাহ বলে তাঁর ভাইসহ অন্য স্বজনেরা শনাক্ত করেছেন। ঝিনাইদহের অভিযানের সময় আবদুল্লাহ কাউন্টার টেররিজমের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল করিম, মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জাপটে ধরে ওই বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেন।

ওসি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ওই জঙ্গিও তাঁর পিছু নেন। ওসি নিরাপদ দূরত্বে সরে আসতে পারলেও নাজমুল করিম ও পুলিশের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক আহত হন। নাজমুলের ডান হাত ভেঙে গেছে এবং এসবির উপপরিদর্শকের মাথায় স্প্রিন্টারের আঘাত লেগেছে। তবে দুজনই এখন আশঙ্কামুক্ত।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল মনিরুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত চারজনের একজন ঝিনাইদহের আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া‘জঙ্গি’। তাঁর নাম আবদুল্লাহ। তিনি ধর্মান্তরিত মুসলমান। নিহত অন্যজন হলেন রফিকুল ইসলাম আবু। এ ছাড়া দুজন অজ্ঞাত। ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহের একটি বাড়িতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ‘সাউথ-প’ নামে অভিযান চালায়। সেখানে কাউকে না পাওয়া গেলেও পুলিশ প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধারের খবর জানায়।

ঝিনাইদহের ওই বাড়িতে ধর্মান্তরিত মুসলিম আবদুল্লাহ বাস করতেন। পরে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রফিকুল ইসলাম আবুর বাড়িতে যান। অভিযানে আবুও নিহত হন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন জিজ্ঞাসাবাদ বলেন, সম্প্রতি ঝিনাইদহ থেকে তাঁদের বাড়িতে দুজন এসেছিলেন। ‘জঙ্গি’ আবদুল্লার ছবি মিলিয়েও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আবদুল্লাহ ও তাঁর সঙ্গী বিস্ফোরক নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আস্তানায় গিয়েছিলেন বলে তাঁর ধারণা। নিহত চারজনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ওরফে আবু ছাড়া বাকি তিনজনের লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ হিসেবে দাফন করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

ঝিনাইদহে নিহত সেই পোড়াহাটির জঙ্গি আস্তানার মালিক আবদুল্লাহ: মনিরুল

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় গতকাল রোববার চালানো অভিযানে নিহত ব্যক্তিদের একজন জঙ্গি আবদুল্লাহ বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। যদিও গত সপ্তাহে তিনি জানিয়েছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অভিযানে আবদুল্লাহ নিহত হন। সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে ঝিনাইদহের অভিযান নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহে যে ব্যক্তি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হয়েছেন, তিনি আবদুল্লাহ বলে তাঁর ভাইসহ অন্য স্বজনেরা শনাক্ত করেছেন। ঝিনাইদহের অভিযানের সময় আবদুল্লাহ কাউন্টার টেররিজমের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল করিম, মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জাপটে ধরে ওই বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেন।

ওসি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ওই জঙ্গিও তাঁর পিছু নেন। ওসি নিরাপদ দূরত্বে সরে আসতে পারলেও নাজমুল করিম ও পুলিশের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক আহত হন। নাজমুলের ডান হাত ভেঙে গেছে এবং এসবির উপপরিদর্শকের মাথায় স্প্রিন্টারের আঘাত লেগেছে। তবে দুজনই এখন আশঙ্কামুক্ত।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল মনিরুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত চারজনের একজন ঝিনাইদহের আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া‘জঙ্গি’। তাঁর নাম আবদুল্লাহ। তিনি ধর্মান্তরিত মুসলমান। নিহত অন্যজন হলেন রফিকুল ইসলাম আবু। এ ছাড়া দুজন অজ্ঞাত। ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহের একটি বাড়িতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ‘সাউথ-প’ নামে অভিযান চালায়। সেখানে কাউকে না পাওয়া গেলেও পুলিশ প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধারের খবর জানায়।

ঝিনাইদহের ওই বাড়িতে ধর্মান্তরিত মুসলিম আবদুল্লাহ বাস করতেন। পরে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রফিকুল ইসলাম আবুর বাড়িতে যান। অভিযানে আবুও নিহত হন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন জিজ্ঞাসাবাদ বলেন, সম্প্রতি ঝিনাইদহ থেকে তাঁদের বাড়িতে দুজন এসেছিলেন। ‘জঙ্গি’ আবদুল্লার ছবি মিলিয়েও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আবদুল্লাহ ও তাঁর সঙ্গী বিস্ফোরক নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আস্তানায় গিয়েছিলেন বলে তাঁর ধারণা। নিহত চারজনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ওরফে আবু ছাড়া বাকি তিনজনের লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ হিসেবে দাফন করা হয়।