শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

শিশুর হাঁপানি হলে কি করবেন ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৪৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অনেক বাচ্চাই হাঁপানিতে কষ্ট পায়। এক হিসাবে দেখা গেছে, ছেলেদের ১০-১৫ শতাংশ এবং মেয়েদের ৭-১০ শতাংশ এ রোগে ভোগে। জীবনের প্রথম বছরের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং চার-পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ হাঁপানি রোগের প্রকাশ ঘটে।

হাঁপানি রোগের সূচনা এবং প্রকাশের সব কারণ বেশ জটিল। বংশগত ধারা এবং পরিবেশের নানা উপাদানের সংযোগে রোগের উজ্জীবন ঘটে। বাচ্চাদের বেলায় এ রোগের সংজ্ঞা নিরূপণ করা খুব সহজ নয়। কেননা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগে ঘন ঘন আক্রান্ত শিশু হাঁপানির মতো লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে। কোনো বাচ্চাকে পরীক্ষা করে যদি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টজনিত অস্বাভাবিক আওয়াজ যা সবসময় অথবা কিছুদিন পর পর শোনা যায়, যার সঙ্গে সচরাচর কাশি থাকে তবে শিশুটি হাঁপানিতে ভুগছে মনে করতে হবে।

হাঁপানি আক্রান্ত বাচ্চা প্রধানত শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকে। বারবার এ অসুখে আক্রান্ত হয় এবং বারবার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার সাহায্যে আবার কখনোবা নিজে নিজেই সেরে উঠে। অ্যালার্জিজনিত বা এটোপিক হাঁপানি শিশুর অল্প বয়সে হতে দেখা যায়। কোনো খাবার জিনিস কিংবা ওষুধে বাচ্চার অ্যালার্জি দেখা গেলে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্তে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের তৈরি ঘটে। এ সব পদার্থ পরে সংবেদনশীল শ্বাস নালীকে সংকুচিত করে।

এ ধরনের হাঁপানিতে দেখা যায় মা-বাবা অথবা বাবার দিকে কারও মধ্যে হাঁপানি বা অ্যালার্জির বংশগত উপস্থিতি। দেখা যায় ধোঁয়া, ঘরের ধূলাবালি, পশুর লোম, পাখির পালক, ঘাস এবং ফুলের রেণু, কিছু কিছু খাবার বিশেষ করে আইসক্রিম এবং ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার, হাঁপানির উৎপত্তি ঘটায়।

হাঁপানি কিভাবে নির্ণয় করবেন : (ক) হাঁপানি বা অ্যালার্জির পারিবারিক ইতিহাস। (খ) বাচ্চা বারবার শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে এবং শাঁ শাঁ শব্দ শোনা গেলে। (গ) সব সময় অথবা বারে বারে কাশি লেগে থাকলে। (ঘ) রাতে শোবার বেলায় বা ভোরের দিকে কাশি বা শ্বাসকষ্টের আওয়াজ। (ঙ) উপসর্গ দেখা দেওয়ার সূচনা হিসেবে কোনো ভাইরাস জ্বর, ব্যায়াম, মানসিক চাপ অথবা বিশেষ কোনো খাবার বা আবহাওয়া জড়িত আছে বলে মনে হলে।

আধুনিক চিকিৎসা : বাচ্চাদের হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় অনেক বিপ্লব এসেছে যেসব উদ্দেশ্যকে চিন্তা করে চিকিৎসাকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে যেগুলো হলো : * বাচ্চার শ্বাসকষ্টজনিত কষ্ট লাঘব করে সে যেন ঘরে এবং স্কুলে স্বাভাবিক কার্যকর জীবনযাপন করতে পারে। * ফুসফুসে স্বাভাবিক কার্যাদি বজায় রাখা। * শ্বাসকষ্ট দূর করতে ওষুধের অতি নির্ভরতা কমানো। * বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশ যাতে ঠিক থাকে এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যতটা সম্ভব এড়ানো।

এ লক্ষ্য অর্জনে প্রধান ধাপগুলো হলো : (ক) পরিহার করা : ধোঁয়া, ধুলা, ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার বা অন্য কোনো কোনো জিনিসের প্রতি বাচ্চার অ্যালার্জি- যে সব কারণে বাচ্চার শ্বাসকষ্টের শুরু যেসব থেকে বাচ্চাকে যতটা সম্ভব বাঁচানো। (খ) ধাপে ধাপে চিকিৎসা : এ ব্যাপারটি একটি নতুন অগ্রগতি। পাঁচটি ধাপে চিকিৎসা প্রদান করা হয় শিশুর হাঁপানির অবস্থা বিবেচনা করে এবং এতে ইনহেলারের প্রয়োগ ঘটে। (গ) অংশীদারিত্বের ব্যবস্থাপনা : এর মাধ্যমে হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশু তার মা-বাবা, অভিভাবক এবং পরিবারের সবাই এ অসুখ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয় যাতে সবাই মিলে বাচ্চাটির যত্ন ঠিকমতো করতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শিশুর হাঁপানি হলে কি করবেন ?

আপডেট সময় : ০২:০৪:৪৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অনেক বাচ্চাই হাঁপানিতে কষ্ট পায়। এক হিসাবে দেখা গেছে, ছেলেদের ১০-১৫ শতাংশ এবং মেয়েদের ৭-১০ শতাংশ এ রোগে ভোগে। জীবনের প্রথম বছরের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং চার-পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ হাঁপানি রোগের প্রকাশ ঘটে।

হাঁপানি রোগের সূচনা এবং প্রকাশের সব কারণ বেশ জটিল। বংশগত ধারা এবং পরিবেশের নানা উপাদানের সংযোগে রোগের উজ্জীবন ঘটে। বাচ্চাদের বেলায় এ রোগের সংজ্ঞা নিরূপণ করা খুব সহজ নয়। কেননা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগে ঘন ঘন আক্রান্ত শিশু হাঁপানির মতো লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে। কোনো বাচ্চাকে পরীক্ষা করে যদি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টজনিত অস্বাভাবিক আওয়াজ যা সবসময় অথবা কিছুদিন পর পর শোনা যায়, যার সঙ্গে সচরাচর কাশি থাকে তবে শিশুটি হাঁপানিতে ভুগছে মনে করতে হবে।

হাঁপানি আক্রান্ত বাচ্চা প্রধানত শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকে। বারবার এ অসুখে আক্রান্ত হয় এবং বারবার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার সাহায্যে আবার কখনোবা নিজে নিজেই সেরে উঠে। অ্যালার্জিজনিত বা এটোপিক হাঁপানি শিশুর অল্প বয়সে হতে দেখা যায়। কোনো খাবার জিনিস কিংবা ওষুধে বাচ্চার অ্যালার্জি দেখা গেলে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্তে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের তৈরি ঘটে। এ সব পদার্থ পরে সংবেদনশীল শ্বাস নালীকে সংকুচিত করে।

এ ধরনের হাঁপানিতে দেখা যায় মা-বাবা অথবা বাবার দিকে কারও মধ্যে হাঁপানি বা অ্যালার্জির বংশগত উপস্থিতি। দেখা যায় ধোঁয়া, ঘরের ধূলাবালি, পশুর লোম, পাখির পালক, ঘাস এবং ফুলের রেণু, কিছু কিছু খাবার বিশেষ করে আইসক্রিম এবং ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার, হাঁপানির উৎপত্তি ঘটায়।

হাঁপানি কিভাবে নির্ণয় করবেন : (ক) হাঁপানি বা অ্যালার্জির পারিবারিক ইতিহাস। (খ) বাচ্চা বারবার শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে এবং শাঁ শাঁ শব্দ শোনা গেলে। (গ) সব সময় অথবা বারে বারে কাশি লেগে থাকলে। (ঘ) রাতে শোবার বেলায় বা ভোরের দিকে কাশি বা শ্বাসকষ্টের আওয়াজ। (ঙ) উপসর্গ দেখা দেওয়ার সূচনা হিসেবে কোনো ভাইরাস জ্বর, ব্যায়াম, মানসিক চাপ অথবা বিশেষ কোনো খাবার বা আবহাওয়া জড়িত আছে বলে মনে হলে।

আধুনিক চিকিৎসা : বাচ্চাদের হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় অনেক বিপ্লব এসেছে যেসব উদ্দেশ্যকে চিন্তা করে চিকিৎসাকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে যেগুলো হলো : * বাচ্চার শ্বাসকষ্টজনিত কষ্ট লাঘব করে সে যেন ঘরে এবং স্কুলে স্বাভাবিক কার্যকর জীবনযাপন করতে পারে। * ফুসফুসে স্বাভাবিক কার্যাদি বজায় রাখা। * শ্বাসকষ্ট দূর করতে ওষুধের অতি নির্ভরতা কমানো। * বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশ যাতে ঠিক থাকে এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যতটা সম্ভব এড়ানো।

এ লক্ষ্য অর্জনে প্রধান ধাপগুলো হলো : (ক) পরিহার করা : ধোঁয়া, ধুলা, ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার বা অন্য কোনো কোনো জিনিসের প্রতি বাচ্চার অ্যালার্জি- যে সব কারণে বাচ্চার শ্বাসকষ্টের শুরু যেসব থেকে বাচ্চাকে যতটা সম্ভব বাঁচানো। (খ) ধাপে ধাপে চিকিৎসা : এ ব্যাপারটি একটি নতুন অগ্রগতি। পাঁচটি ধাপে চিকিৎসা প্রদান করা হয় শিশুর হাঁপানির অবস্থা বিবেচনা করে এবং এতে ইনহেলারের প্রয়োগ ঘটে। (গ) অংশীদারিত্বের ব্যবস্থাপনা : এর মাধ্যমে হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশু তার মা-বাবা, অভিভাবক এবং পরিবারের সবাই এ অসুখ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয় যাতে সবাই মিলে বাচ্চাটির যত্ন ঠিকমতো করতে পারে।