গরম-বর্ষা হোক বা শীত, ত্বক ভাল রাখতে সানস্ক্রিন মাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। রোদে বের হলে তো বটেই, এমনকী বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন মাখা উচিত। কারণ ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সানস্ক্রিনের বড় ভূমিকা রয়েছে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন রয়েছে। সঙ্গে অনেকেই নিয়মিত মেকআপও করেন। তবে যে ধরনের সানস্ক্রিন, মেকআপই ব্যবহার করুন না কেন, ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুললে চলবে না। কোনটি কখন মাখবেন, তা না জানলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
ত্বকের যত্নের রুটিনের অপরিহার্য অঙ্গ ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বককে নিস্তেজ, খসখসে এবং রুক্ষ হওয়া থেকে আটকায় ময়শ্চারাইজার। অন্যদিকে, সানস্ক্রিন শুধু ট্যান পড়ার হাত থেকে বাঁচায় না, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ইউভিএ এবং ইউভিবি-র ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করাই সানস্ক্রিনের আসল কাজ।
ত্বকের যত্নের সঠিক নিয়ম হল, প্রথমে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। তারপর সেটি ত্বকে ভালভাবে শোষণ হয়ে গেলে সানস্ক্রিন লাগান। সানস্ক্রিন মুখ সহ গলায়, ঘাড়ে, হাতেও উপযুক্ত পরিমাণে লাগান। অনেক ময়শ্চারাইজারে এসপিএফ থাকে বটে, কিন্তু সেক্ষেত্রেও আলাদা করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে বাইরে থাকলে তো অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখুন। আর সানস্ক্রিনের পরই লাগান মেকআপ। তবে সারাদিন ত্বকে মেকআপ থাকলে কিছু সময়ের ব্যবধানে সানস্ক্রিন লাগান।
তাহলে প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিস্কার করে নিন। এরপর টোনার, ফেস সিরাম লাগানোর ময়েশ্চারাইজার মাখুন। তারপরই সানস্ক্রিন ব্যবহারের পালা। আসলে ময়েশ্চারাইজার তুলনামূলক হাল্কা। যার জেরে দ্রুত ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে যায়। অন্যদিকে, সানস্ক্রিন ভারী ক্রিম। সবার শুরুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে মুখের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাইরে বার হওয়ার ঠিক ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার সঠিক সময়। তারপরই সাজ অনুযায়ী ব্যবহার করুন মেকআপ।