নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’- এ এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সরকারি পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ দশমিক ১১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
এর আগে ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ এর জুন সংখ্যায় বিশ্বব্যাংক ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাবে না বলে উল্লেখ করেছিল। ছয় মাস পর জানুয়ারির প্রতিবেদনে যে প্রক্ষেপণ তারা দিয়েছে, তা আগের হিসাব থেকে দশমিক পাঁচ শতাংশ বেশি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ কমবে। একই সঙ্গে কমবে বিনিয়োগ। রাজস্ব খাতে ভারসাম্য আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এবং আর্থিক ও করপোরেট খাতে স্থিতিশীলতার অবনমন ঘটলে আরো শ্লথ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি।
ফলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামতে পারে। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপর ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে সাত শতাংশ হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান হবে তৃতীয়। প্রথম অবস্থানে থাকবে ভুটান। দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে ভারত, তাদের ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। সার্বিক দিক দিয়ে চলতি অর্থবছর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৭ দশমিক ১ শতাংশ।
এ ছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০১৭ সালে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। বিদায়ী বছরের চেয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশি হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। বিদায়ী বছরে বিশ্বে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির পেছনে কাজ করবে উন্নয়নশীল অর্থনীতির উদীয়মান বাজার।