অনেকের মতে, লাল ডিমের দাম যেহেতু বেশি তারমানে পুষ্টি বেশি।আবার অনেকে বলেন উল্টো কথা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুরগির জাত ও জিনের ওপর নির্ভর করে ডিমের রং। সাদা ডিম পাড়ে সাদা পালকের মুরগিরা। লাল ডিম পাড়ে গাঢ় রঙের পালকের মুরগি। তবে কিছু কিছু জাতের মুরগি সাদা হলেও লাল ডিম পাড়ে। ডিমের খোসার রঙ বাদামি হয় মূলত মুরগির জরায়ুর মধ্যে থাকা শেল গ্ল্যান্ডের কারণে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, সাধারণত একটি মুরগির ভেতরে ডিম তৈরি হতে প্রায় ২৬ ঘণ্টা সময় লাগে।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ সৈয়দ তাসনিম হাসিন চৌধুরী এবং পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ শাকিলা ফারুক দুজনই জানিয়েছেন, ডিমের রঙের সাথে এর পুষ্টিগুণের কোনো তারতম্য হয় না।
আবার নিউ ইয়র্কের এক দল গবেষকের মতে লাল ডিমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সামান্য বেশি রয়েছে। কিন্তু সেই পার্থক্য এতটাই সামান্য যে তাতে খুব একটা ফারাক হয় না।সেক্ষেত্রে বলা যায় দুই রঙের ডিমের খাদ্যগুণ প্রায় সমান। তাই ডিম যে রঙেরই হোক আপনি তা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, একটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় সমান।
এক্ষেত্রে মুরগির ডিমের রং নয় বরং মুরগি কী ধরনের খাবার খায় এবং কী ধরনের পরিবেশে বেড়ে ওঠে সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।