নিউজ ডেস্ক:
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ২০০ কোটি টাকার উপরে। তার পরও বন্দরটি রাজস্ব আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। গত পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে ৩৫ শতাংশ বা প্রায় ৪৭ কোটি টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভোমরা স্থলবন্দরে ২৫১ কোটি ২৪ লাখ ১৯ হাজার টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এ লক্ষ্যের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ২০৪ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৩ টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল ২৮ কোটি ৬১ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয় ২১ কোটি ৩১ লাখ ৩৪ হাজার ২২৭ টাকা। একইভাবে আগস্টে ৫৬ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার ২০৬, সেপ্টেম্বরে ৫৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে ২৫ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ৬৯২, অক্টোবরে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে ৫৪ কোটি ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫৬৪ ও নভেম্বরে ৫৭ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আহরণ হয়।
রাজস্ব আয় কম হওয়ার পেছনে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসকে দায়ী করেছেন ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী দিলওয়ার নওশাদ রাজু। তিনি বলেন, ‘অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি তেমন হয়নি। অক্টোবরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে মন্দা অবস্থা কাটতে শুরু করেছে। তবে প্রথম তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বড় অংকের রাজস্ব ঘাটতি হওয়ায় সার্বিক রাজস্ব আয়ে প্রভাব পড়েছে।’
এ প্রসঙ্গে ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘বছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আহরণে বন্দরটি বেশ পিছিয়ে পড়েছে। এখনো সাত মাস বাকি আছে। আশা করছি, পরের মাসগুলোয় লক্ষ্যমাত্রার বেশি রাজস্ব আয় হবে।’
প্রসঙ্গত, ভোমরা স্থলবন্দর থেকে চলতি অর্থবছর ৭৩০ কোটি ৯৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য দিয়েছে এনবিআর। এর মধ্যে ডিসেম্বরে ৫৫ কোটি ৫৬ লাখ ৯৬ হাজার, জানুয়ারিতে ৭০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ৭৮ কোটি ১৯ লাখ ২৬ হাজার, মার্চে ৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৬৬ হাজার, এপ্রিলে ৬৪ কোটি ৮৭ লাখ ১৬ হাজার, মে মাসে ৬০ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার ও জুনে ৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য রয়েছে।