মঙ্গলবার (৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমপি আজিমের এপিএস আব্দুর রউফ।
তিনি বলেন, এমপি সাহেবের মেয়ে ডরিন ও আমি একসঙ্গে ভারতীয় ভিসা পেয়েছি। ডিবির তদন্ত টিম নেপাল থেকে দেশে আসার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে কলকাতায় যাব।
এর আগে, গত ২২ মে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ও সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের ১২ দিন পর ভারতের ভিসা পেয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার অন্তর্গত ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। এরপর গত ২২ মে কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তার খুন হওয়ার বিষয়টি জানায় ভারতীয় পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ।
তবে এ হত্যার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো এমপি আজিমের লাশ উদ্ধার হয়নি। যে ভবনে তিনি খুন হয়েছিলেন সম্প্রতি সেই ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার (এমপি আনার) লাশের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।