শিরোনাম :
Logo অদ্য অপরাহ্ন থেকে সাজেক পর্যটক ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত Logo সিরাজদিখানে এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান Logo “ফেব্রুয়ারি-আমাদের অস্তিত্ব “ Logo কচুয়ার রাগদৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সুখবর, সময় আছে আরও দুইদিন Logo জনপ্রশাসনের দুই সচিবকে বদলি Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বাসেডর  -খুবি উপাচার্য  Logo নতুন দলে অংশ নিতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত: নাহিদ ইসলাম Logo ধর্ষণের প্রতিবাদে যবিপ্রবির এলামনাইদের মানববন্ধন Logo আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী “বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ “

নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে কারা?

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০২:১৮:৩০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ায় যত মৃত্যু ঘটে তার প্রায় ৩৫ ভাগই শিশু। যেসব অঞ্চলে টিকার সুযোগ কম, খাদ্য ঘাটতির জন্য অপুষ্টি ঘিরে ধরে সমাজকে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ধোঁয়া আর রান্নার জ্বালানি দূষিত করে বাতাস, সেখানকার শিশুরাও আছে ঝুঁকিতে। ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে প্রদাহ হয় তাকেই বলে নিউমোনিয়া। বেশির ভাগ সংক্রমণের কারণ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, কভিড-১৯ এর সংক্রমণ।

এছাড়া ধূমপায়ী, মাদকসেবীদের মধ্যে বেশি হয় নিউমোনিয়া। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরাও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। অন্যদিকে বায়ুদূষণ, ঘরের ভিতর বায়ু চলাচল বিঘ্নিত হলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল, যারা অনেক দিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিচ্ছেন তাদেরও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।

খেয়াল রাখতে হবে নিউমোনিয়া হলে হয় খুব জ্বর আসে, কাঁপুনির মতো লক্ষণ থাকে। কফ, কাশ থাকতে পারে। শ্বাসকষ্ট ও বুক ব্যথা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তার দেখানো জরুরি। মনে রাখতে হবে, রক্তের সিবিসি বুকের এক্স-রে আর উপসর্গ পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় সহজ।

প্রাণ বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন ত্বরিত চিকিৎসা। এছাড়া কখনো কখনো এন্টিবায়োটিক ও অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিরোধের উপায় সময়মতো নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে বিশেষ করে যা উচ্চঝুঁকিতে আছেন। পাশাপাশি সবাইকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ধূমপান, মদ্যপান অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

লেখক : সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অদ্য অপরাহ্ন থেকে সাজেক পর্যটক ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত

নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে কারা?

আপডেট সময় : ০২:১৮:৩০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ায় যত মৃত্যু ঘটে তার প্রায় ৩৫ ভাগই শিশু। যেসব অঞ্চলে টিকার সুযোগ কম, খাদ্য ঘাটতির জন্য অপুষ্টি ঘিরে ধরে সমাজকে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ধোঁয়া আর রান্নার জ্বালানি দূষিত করে বাতাস, সেখানকার শিশুরাও আছে ঝুঁকিতে। ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে প্রদাহ হয় তাকেই বলে নিউমোনিয়া। বেশির ভাগ সংক্রমণের কারণ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, কভিড-১৯ এর সংক্রমণ।

এছাড়া ধূমপায়ী, মাদকসেবীদের মধ্যে বেশি হয় নিউমোনিয়া। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরাও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। অন্যদিকে বায়ুদূষণ, ঘরের ভিতর বায়ু চলাচল বিঘ্নিত হলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল, যারা অনেক দিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিচ্ছেন তাদেরও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।

খেয়াল রাখতে হবে নিউমোনিয়া হলে হয় খুব জ্বর আসে, কাঁপুনির মতো লক্ষণ থাকে। কফ, কাশ থাকতে পারে। শ্বাসকষ্ট ও বুক ব্যথা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তার দেখানো জরুরি। মনে রাখতে হবে, রক্তের সিবিসি বুকের এক্স-রে আর উপসর্গ পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় সহজ।

প্রাণ বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন ত্বরিত চিকিৎসা। এছাড়া কখনো কখনো এন্টিবায়োটিক ও অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিরোধের উপায় সময়মতো নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে বিশেষ করে যা উচ্চঝুঁকিতে আছেন। পাশাপাশি সবাইকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ধূমপান, মদ্যপান অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

লেখক : সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।