শিরোনাম :
Logo ১০ ঘণ্টা পর কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ছাড়লেন অবরোধকারী শিক্ষকরা Logo জাবি ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে ফের বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি Logo পঞ্চগড়ের আটোয়ারী আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক বৌমা ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ Logo জামাত নেতা হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সিরাজগঞ্জে পেঁপে চাষে সাফল্যের মুখে রাসেল! Logo বীরগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পোনা মাছ অবমুক্তকরন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo বীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের কক্সবাজার- টেকনাফ সড়ক অবরোধ” Logo জুলাই আন্দোলন বিরোধী কার্যক্রমে ইবির ৬১ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে শোকজ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ উদ্বোধন

এনসিটিবির সামনে আদিবাসী ও স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির সংঘর্ষ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:৩৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর সামনে আদিবাসী ছাত্র জনতা এবং স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দটি বাতিল বা বহালের বিষয়ে দু’পক্ষের অবস্থান নিয়ে এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।

বিতর্কের শুরু নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা একটি চিত্রকর্ম থেকে। ওই চিত্রকর্মে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী শব্দগুলো লেখা ছিল। পাশে ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’ কথাটি।

গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাওয়ের ডাক দেয়। রাতে, বইটির অনলাইন সংস্করণ থেকে সেই চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আদিবাসী ছাত্র জনতা এবং স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির সদস্যরা এনসিটিবি ঘেরাও করার জন্য একই সময়, একই জায়গায় সমবেত হন। একপক্ষ চিত্রকর্মটি বহাল রাখার দাবি জানালে অন্যপক্ষ এটি বাতিল করার পক্ষে অবস্থান নেয়।

এসময়, দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানব ব্যারিকেড তৈরি করে। কিন্তু, দুপুর ১টার দিকে সেই ব্যারিকেড ভেঙে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন।

সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এদিকে, বিক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।

অন্যদিকে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনের সদস্যরা হামলার বিচার দাবিতে মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের কাছে সড়কে অবস্থান নেন। এই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তীব্র উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এনসিটিবির সামনের সংঘর্ষ ও উত্তেজনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১০ ঘণ্টা পর কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ছাড়লেন অবরোধকারী শিক্ষকরা

এনসিটিবির সামনে আদিবাসী ও স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির সংঘর্ষ

আপডেট সময় : ০২:২৭:৩৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর সামনে আদিবাসী ছাত্র জনতা এবং স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দটি বাতিল বা বহালের বিষয়ে দু’পক্ষের অবস্থান নিয়ে এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।

বিতর্কের শুরু নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা একটি চিত্রকর্ম থেকে। ওই চিত্রকর্মে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী শব্দগুলো লেখা ছিল। পাশে ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’ কথাটি।

গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাওয়ের ডাক দেয়। রাতে, বইটির অনলাইন সংস্করণ থেকে সেই চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আদিবাসী ছাত্র জনতা এবং স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির সদস্যরা এনসিটিবি ঘেরাও করার জন্য একই সময়, একই জায়গায় সমবেত হন। একপক্ষ চিত্রকর্মটি বহাল রাখার দাবি জানালে অন্যপক্ষ এটি বাতিল করার পক্ষে অবস্থান নেয়।

এসময়, দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানব ব্যারিকেড তৈরি করে। কিন্তু, দুপুর ১টার দিকে সেই ব্যারিকেড ভেঙে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন।

সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এদিকে, বিক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।

অন্যদিকে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনের সদস্যরা হামলার বিচার দাবিতে মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের কাছে সড়কে অবস্থান নেন। এই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তীব্র উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এনসিটিবির সামনের সংঘর্ষ ও উত্তেজনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।