প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস মঙ্গলবার কোরীয় এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) এর ভূমি সমস্যা সমাধান করতে এবং সব বিনিয়োগ প্রচার সংস্থাকে একত্রিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
এদিন, কোরীয় কোম্পানি ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সঙসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন। কিহাক সঙ, যিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রপ্তানিকারক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন যা বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) এর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই কোরীয় ইপিজেড বাংলাদেশের জন্য একটি আদর্শ মডেল হয়ে উঠুক। এটি বড় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে এবং বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তিনি আরও জানান, কোরীয় ইপিজেড এর ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার কাজ করছে এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে এটি সম্পূর্ণরূপে সমাধান হবে।
কিহাক সঙ এই পদক্ষেপের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এর ফলে আরও কোরীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। তিনি বলেন, কোরীয় ইডিজেড নিঃসন্দেহে অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য এক আদর্শ হয়ে দাঁড়াবে।
এছাড়া, কিহাক সঙ এবং ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এ. মতিন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সব বিনিয়োগ সংস্থার কার্যক্রম একত্রিত করার প্রস্তাব দেন, যাতে একটি ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ প্রদান করা যায়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-কে নির্দেশ দিয়েছেন যেন এই পাঁচটি বিনিয়োগ সংস্থাকে একত্রিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যে শ্রম আইন সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে এবং তার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এ বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ‘গ্রিন চ্যানেল’ চালু করা হতে পারে, যা রপ্তানি প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করবে।
ইন্ডিটেক্সের কান্ট্রি হেড হাভিয়ের কার্লোস সানটোনজা অলসিনা এবং ডিউহার্স্টের পরিচালক পল অ্যান্থনি ওয়ারেনও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন।