শিরোনাম :
Logo দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা Logo জাকসু প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন  বাগছাসের জিএস প্রার্থীর Logo শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টার সুস্থতা ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo লস্কর সিনেমার গানে জীবন ওয়াসিফ ও শেরপুরের কলি সাহা Logo সিরাজগঞ্জে এতিমদের জমি দখলে প্রভাবশালীদের টানাটানি Logo চাঁদপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo সাংবাদিক কবির হোসেন মিজি সম্পাদিত ছোট কাগজ জানালা’র মোড়ক উন্মোচন Logo একসময়ের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী সফিউল্লাহ এখন রিক্সা–সাইকেল মেকানিক Logo শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে: বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

এমপি হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ করতে চাই

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:০৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার বয়স এখন ২৫ বছর আছে, এটা ২১ বছরে নিয়ে আসতে চান বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিঙ্গুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট আলী রীয়াজ। দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক দলগুলো তরুণদের আকাঙ্ক্ষা কতটা ধারণ করতে পারছে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত মনে করি, তাদের কিছু ঘাটতি আছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই একটা সুপারিশ আমরা করব ভেবেছি। একটা হচ্ছে, সংসদ সদস্য হওয়ার যে বয়স তা আমরা কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে। এখন ২৫ বছর আছে, আমরা ২১ বছরে নিয়ে আসতে চাই। আমরা মনে করি, তরুণদের অংশগ্রহণের জায়গা তৈরি করতে হবে যাতে করে তারা সংসদে আসতে পারে, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।’

সংবিধান সংস্কারে আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু কিছু দল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের প্রস্তাবগুলো দিয়েছে। সেগুলোও আমরা বিবেচনা করেছি। একটা ক্রাইটেরিয়া আমরা ব্যবহার করেছি যেটা ৩ নভেম্বর আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি। যারা প্রত্যক্ষভাবে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী সরকার এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব না। এই অধিকারটা তারা নিজেরাই হারিয়েছে। ওইসব দল বাদ দিয়ে আমরা সবার কথাই বিবেচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনে এমন নিবন্ধিত দলও আছে যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে। অনিয়ম আছে এখানে। ফলে সেটা বিবেচনা করলে হবে না। আবার এমন দল আছে যাদের নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিন্তু দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, এমন সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেগুলো আসলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের ওপর এক ধরনের নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা ছিল। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে রাজনৈতিক দলগুলো কারা, সক্রিয় কারা, এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে কারা ধারণ করছেন, কারা যুক্ত থেকেছেন এবং কিভাবে তারা ভূমিকা রেখেছেন- তাদের সবার কাছে আমরা গিয়েছি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা

এমপি হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ করতে চাই

আপডেট সময় : ০৬:৫১:০৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার বয়স এখন ২৫ বছর আছে, এটা ২১ বছরে নিয়ে আসতে চান বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিঙ্গুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট আলী রীয়াজ। দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক দলগুলো তরুণদের আকাঙ্ক্ষা কতটা ধারণ করতে পারছে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত মনে করি, তাদের কিছু ঘাটতি আছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই একটা সুপারিশ আমরা করব ভেবেছি। একটা হচ্ছে, সংসদ সদস্য হওয়ার যে বয়স তা আমরা কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে। এখন ২৫ বছর আছে, আমরা ২১ বছরে নিয়ে আসতে চাই। আমরা মনে করি, তরুণদের অংশগ্রহণের জায়গা তৈরি করতে হবে যাতে করে তারা সংসদে আসতে পারে, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।’

সংবিধান সংস্কারে আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু কিছু দল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের প্রস্তাবগুলো দিয়েছে। সেগুলোও আমরা বিবেচনা করেছি। একটা ক্রাইটেরিয়া আমরা ব্যবহার করেছি যেটা ৩ নভেম্বর আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি। যারা প্রত্যক্ষভাবে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী সরকার এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব না। এই অধিকারটা তারা নিজেরাই হারিয়েছে। ওইসব দল বাদ দিয়ে আমরা সবার কথাই বিবেচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনে এমন নিবন্ধিত দলও আছে যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে। অনিয়ম আছে এখানে। ফলে সেটা বিবেচনা করলে হবে না। আবার এমন দল আছে যাদের নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিন্তু দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, এমন সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেগুলো আসলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের ওপর এক ধরনের নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা ছিল। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে রাজনৈতিক দলগুলো কারা, সক্রিয় কারা, এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে কারা ধারণ করছেন, কারা যুক্ত থেকেছেন এবং কিভাবে তারা ভূমিকা রেখেছেন- তাদের সবার কাছে আমরা গিয়েছি।’