পুরোপুরি শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পর এবার ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। দুই বছর পর আজ সকালে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে এলো চালের প্রথম চালান।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে একটি চালানের ১০৫ মেট্রিকটন চাল বেনাপোল বন্দরে ঢুকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল শুল্ক ভবনের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের।
তিনি জানান, যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘সুধর্ম আয়াতনির্যাত প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন (এক লাখ ৫ হাজার কেজি) নন বাসমতি চাল আমদানি করে। একই আমদানিকারকের আরও ১০৫ মেট্রিক টন চাল ওপারে রয়েছে যা আজই বেনাপোল বন্দরে ঢুকতে পারে।
বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে হোসেন এন্ড সন্স নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট।
সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান বলেন, আমদানিকৃত চালের দাম ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার সমান। আমদানিকৃত প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা।এরপর পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। সেই হিসেবে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা পড়ে যাবে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে। এতে আমদানি বাড়ায় দেশের বাজারে চালের দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছেন তারা।
গত ১০ নভেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। যারা ভারত থেকে দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের উপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়।
এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) কাজী রতন বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টনের (৩ ট্রাক) একটি চালান প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।