শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ গ্রিড তৈরির আহ্বান ড. ইউনূসের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নেপাল ও ভুটানের তৈরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন অন্তবর্তকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার আজারাবাইজানের বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে সামাজিক ব্যবসার উদ্যোক্তাদের  সাথে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সাথে সংযোগকারী বিদ্যুতের গ্রিডের অভাবে বেশিরভাগ জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

নেপালের কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, বাংলাদেশ সহজেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আনতে পারে কারণ এটি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে।  নেপালের জলবিদ্যুৎও সাশ্রয়ী। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরি করার কথা ভাবতে হবে৷

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ভুটানের সফররত প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিদ্যুৎ ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব তুলে ধরেছিল ঢাকা।  ওই সময় ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে অংশীদার হওয়ার সুযােগ চেয়েছিল বাংলাদেশ।  চলতি বছরের জুনে নয়াদিল্লিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী  শেরিং তোবগে।  ওই বৈঠকেও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়

গত অক্টোবর নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই হয়। নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তিতে সই করে।  নেপালের এ বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারতের ভূখণ্ড ও সরবরাহ লাইন ব্যবহার করা হবে। এজন্য ভারতীয় পক্ষও এ চুক্তিতে সই করে। এ চুক্তির অধীনে প্রতি বছর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

যদি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সমন্বিতভাবে নেপাল এবং ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যবহারে গ্রিড তৈরি করতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলো অনেক উপকৃত হবে।  সীমান্ত, কূটনীতি, নানা মারপ্যাঁচে অবাধভাবে জলবিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা কঠিন। দক্ষিণ এশিয়ায় জলবিদ্যুতের গ্রিড তৈরিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব যুগান্তকারী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ গ্রিড তৈরির আহ্বান ড. ইউনূসের

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

নেপাল ও ভুটানের তৈরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন অন্তবর্তকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার আজারাবাইজানের বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে সামাজিক ব্যবসার উদ্যোক্তাদের  সাথে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সাথে সংযোগকারী বিদ্যুতের গ্রিডের অভাবে বেশিরভাগ জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

নেপালের কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, বাংলাদেশ সহজেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আনতে পারে কারণ এটি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে।  নেপালের জলবিদ্যুৎও সাশ্রয়ী। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরি করার কথা ভাবতে হবে৷

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ভুটানের সফররত প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিদ্যুৎ ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব তুলে ধরেছিল ঢাকা।  ওই সময় ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে অংশীদার হওয়ার সুযােগ চেয়েছিল বাংলাদেশ।  চলতি বছরের জুনে নয়াদিল্লিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী  শেরিং তোবগে।  ওই বৈঠকেও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়

গত অক্টোবর নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই হয়। নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তিতে সই করে।  নেপালের এ বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারতের ভূখণ্ড ও সরবরাহ লাইন ব্যবহার করা হবে। এজন্য ভারতীয় পক্ষও এ চুক্তিতে সই করে। এ চুক্তির অধীনে প্রতি বছর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

যদি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সমন্বিতভাবে নেপাল এবং ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যবহারে গ্রিড তৈরি করতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলো অনেক উপকৃত হবে।  সীমান্ত, কূটনীতি, নানা মারপ্যাঁচে অবাধভাবে জলবিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা কঠিন। দক্ষিণ এশিয়ায় জলবিদ্যুতের গ্রিড তৈরিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব যুগান্তকারী।