পরদিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সংসদ ভেঙে দিয়েছেন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে অনেক রদবদল হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেয়।
বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মঙ্গলবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে আইএমএফ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে উদ্ভূত অস্থিরতা এতে নিহত ও আহতদের প্রতি আইএমএফ গভীর শোক জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে আইএমএফের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আইএমএফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল বাংলাদেশের সরকার।
তহবিলের তৃতীয় কিস্তি ২৪ জুন ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দেয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থিত আইএমএফের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের দায়িত্বরত নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলেরের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি আমাদের ঋণের তৃতীয় কিস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তৃতীয় কিস্তি হিসাবে ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ।
এর আগে ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে আলোচনা করতে গত ২৩ এপ্রিল ঢাকায় আসে আইএমএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ২৫ এপ্রিল বৈঠক হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে। বৈঠকে আর্থিক খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ, সুদের হার বাস্তবায়ন, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বিদেশি বাণিজ্যের ভারসাম্য ও আউটলুক, মুদ্রা বাজার ও তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে উচ্চমূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে সুদের হার বৃদ্ধিসহ গৃহীত পদক্ষেপের তথ্য সংগ্রহ করে সংস্থাটি। একইসঙ্গে রিজার্ভ পরিস্থিতি, ডলারের বিদ্যমান রেট, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক লেনদেন বিষয়ে হালনাগাদ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ জানতে চায়।
এ ছাড়াও ব্যাংক খাতের সংস্কার, একীভূতকরণের পদক্ষেপ, রাজস্ব সংক্রান্ত পরামর্শের অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়েছে আইএমএফ। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপকে যথাযথ বলে জানিয়েছেন উন্নয়ন সহযোগী সদস্যরা। আইএমএফ ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ ছাড়ের শর্ত হিসাবে যেসব সংস্কার প্রস্তাব দেয় তার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়েছে।