শিরোনাম :
Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র” Logo ভুয়া নিয়োগপত্রে প্রতারণা: সিরাজগঞ্জের যুবকের কাছ থেকে আদায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা Logo সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কয়রায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীর পল্লীতে সাপের দংশনে কিশোরীর মৃত্যু Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের প্রচেষ্টায় এক বছরে ১ হাজার ১৪১টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার

আসছে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বাজেট !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে বেশি গুরুত্ব পাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত।গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আলোচনায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), ইকনোমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি) এবং অর্থনীতি সমিতির অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বাড়বে। সেই হারে ঠিক করা হবে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই। চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরের জিডিপির প্রাক্কলন করা হয়নি। আগামী অর্থবছরের বাজেট তৈরির প্রথম প্রাক-বাজেট আলোচনা থিংক ট্যাংকদের সঙ্গে করেছি। তারা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে, রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে হবে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ মোটামুটি সন্তোষজনক। তবে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কেননা, মানুষের আয় বেড়েছে; করদাতার সংখ্যা বেড়েছে, বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। সে অনুপাতে রাজস্ব আহরণও বাড়াতে হবে। সম্প্রতি রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক ধারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে থিংক ট্যাংক।

তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিকদের মজুরি কমে গেছে। এ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে সঠিকভাবে রেমিট্যান্স আসছে না। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ফাঁকি রয়েছে। এ ফাঁকি বন্ধ করতে আগামী বাজেটে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রিজার্ভ ভেঙে সভরেন বন্ড গঠনে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে থিংক ট্যাংক। আগামী বাজেটে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে ভ্যাট আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে আলোচনা চলছে। আগামী অর্থবছরেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। মাসব্যাপী আলোচনা শেষে ৩০ জুন পাশ হবে বাজেট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন

আসছে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বাজেট !

আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে বেশি গুরুত্ব পাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত।গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আলোচনায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), ইকনোমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি) এবং অর্থনীতি সমিতির অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বাড়বে। সেই হারে ঠিক করা হবে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই। চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরের জিডিপির প্রাক্কলন করা হয়নি। আগামী অর্থবছরের বাজেট তৈরির প্রথম প্রাক-বাজেট আলোচনা থিংক ট্যাংকদের সঙ্গে করেছি। তারা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে, রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে হবে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ মোটামুটি সন্তোষজনক। তবে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কেননা, মানুষের আয় বেড়েছে; করদাতার সংখ্যা বেড়েছে, বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। সে অনুপাতে রাজস্ব আহরণও বাড়াতে হবে। সম্প্রতি রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক ধারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে থিংক ট্যাংক।

তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিকদের মজুরি কমে গেছে। এ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে সঠিকভাবে রেমিট্যান্স আসছে না। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ফাঁকি রয়েছে। এ ফাঁকি বন্ধ করতে আগামী বাজেটে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রিজার্ভ ভেঙে সভরেন বন্ড গঠনে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে থিংক ট্যাংক। আগামী বাজেটে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে ভ্যাট আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে আলোচনা চলছে। আগামী অর্থবছরেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। মাসব্যাপী আলোচনা শেষে ৩০ জুন পাশ হবে বাজেট।