নিউজ ডেস্ক:জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয়।
২৬ বিভাগে ৩৩ জন শিল্পী ও কলাকুশলী পেয়েছেন দেশীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার। এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ সিনেমার খেতাব যৌথভাবে পাচ্ছে ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়।
ন ডরাই সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পাচ্ছেন তানিম রহমান অংশু। আবার বসন্ত সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন তারিক আনাম খান। আর ন ডরাই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল।
পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও অভিনেত্রী যথাক্রমে ফজলুর রহমান বাবু ও নারগিস আক্তার। সাপলুডু সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন জাহিদ হাসান।
কালো মেঘের ভেলা এবং যদি একদিন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছে নাইমুর রহমান আপন ও আফরীন আক্তার। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন পাচ্ছেন শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার। মায়া দ্য লস্ট মাদার সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
শ্রেষ্ঠ গায়ক হয়েছেন মৃনাল কান্তি দাস। শাটল ট্রেন সিনেমার ‘তুমি চাইয়া দেখো’ শিরোনামের গান গেয়েছেন তিনি। শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার যৌথভাবে পাচ্ছেন মমতাজ ও ঐশী। দুজনই মায়া দ্য লস্ট মাদার সিনেমায় গেয়েছেন যথাক্রমে ‘বাড়ির ঐ পূর্বধারে’ ও ‘মায়া, মায়া রে’ গান।
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার পাচ্ছেন হাবিবুর রহমান। মনের মতো মানুষ পাইলাম না সিনেমায় নৃত্য পরিচালনার জন্য এ পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে যৌথভাবে পুরস্কার পাচ্ছেন নির্মলেন্দু গুণ ও কবি কামাল চৌধুরী। কালো মেঘের ভেলা সিনেমার ‘ইস্টিশনে জন্ম আমার’ গানের জন্য নির্মলেন্দু গুণ এবং মায়া দ্য লস্ট মাদার সিনেমায় ‘চল হে বন্ধু চল’ গানের জন্য কবি কামাল চৌধুরী এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
মায়া দ্য লস্ট মাদার সিনেমার ‘বাড়ির ঐ পূর্বধারে’ গানের জন্য আব্দুল কাদির ও ‘আমার মায়ের আঁচল’ গানের জন্য সৈয়দ মো. তানভীর তারেক যৌথভাবে পাচ্ছেন শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার।
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার মাসুদ রানা, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মাহবুব উর রহমান, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা জাকির হোসেন রাজু। শ্রেষ্ঠ সম্পাদক জুনায়েদ হালিম, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক যৌথভাবে মো. রহমত উল্লাহ বাসু ও ফরিদ আহমেদ, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক সুমন কুমার সরকার, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা খোন্দকার সাজিয়া আফরিন এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপ ম্যানের পুরস্কার পেয়েছেন মো. রাজু।
এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে নারী জীবন। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট। যা ছিলো অন্ধকারে প্রামাণ্যচিত্রের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশন পেয়েছে শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার।
এবারের আয়োজনে সর্বোচ্চ ৮টি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে মায়া দ্য লস্ট মাদার সিনেমাটি। ৬টি বিভাগে পুরস্কার পেয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে ন ডরাই। এ ছাড়া ফাগুন হাওয়ায় সিনেমাটি পুরস্কার পেয়েছে ৩টি বিভাগে।