শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

অযোগ্যতায় দায়ী ১১ অভ্যাস !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১২:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৮২৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

যখন আমরা কোনো চাকরির জন্য ইন্টারভিউর সম্মুখীন হই কিংবা কর্মক্ষেত্রে উপরস্থ কারো সঙ্গে কথা বলি, তখন স্নায়ুবিক দুর্বলতার কারণে নিজের অজান্তেই আমাদের আচরণে লক্ষণীয় কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়।
এসব আচরণ বা কার্যকলাপের জন্য অন্যদের মনে হতে পারে আপনি হয়তো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অপারগ।
মেনে নেয়া কঠিন হলেও এসব আচরণ আপনার ভেতর থেকেই যেন চিৎকার করে উঠে- ‘আমি প্রস্তুত নই!’

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, সতর্কতাই এসব বেফাঁস বা দৃষ্টিকটুআচরণ দূর করার সবচেয়ে বড় উপায়।
নখ কামড়ানো
নখ কামড়ানো হল সবচেয়ে প্রচলিত একটি দৃষ্টিকটু বদভ্যাস। ক্যারিয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ অ্যামান্ডা অগাস্টিন বিজনেস ইনসাইডার-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটি শুধু আপনার নখ আর বহিঃত্বকেরই ক্ষতিসাধন করে না, পাশাপাশি আপনার ব্যক্তিত্বেরও হ্রাস ঘটায়।’

অবিরাম মোবাইল ফোন চালানো
‘আমার মতে যে মানুষটা তার মোবাইল ফোন বা ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে থাকতে পারে না, সে আসলে তার অনাগ্রহী মনোভাবকে প্রকাশ করে।’- ভিকি অলিভার, লেখক, ৩১০ স্মার্ট আনসার্স টু টাফ ইন্টারভিউ কোশ্চেনস এবং ৩১০ স্মার্ট আনসার্স টু টাফ বিজনেস এথিক কোশ্চেনস।

কথা বলার সময় চোখের দিকে না তাকানো
ইন্টারভিউয়ের সময়ে সরাসরি প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে না তাকিয়ে অর্থাৎ ‘আই কন্ট্যাক্ট’ না করে উত্তর দেয়াটা তাদের মনে আপনার সম্পর্কে এক ধরনের বিরূপ এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অগাস্টিনের মতে, ‘সরাসরি চোখের দিকে না তাকানোর ব্যাপারটা নিজেকে অপ্রস্তুত, অনাগ্রহী, অন্তঃসারশূণ্য এমনকি অহংকারী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে।’

কথা বলার সময়ের অন্তত অর্ধেকটা যদি আপনি ‘আই কন্ট্যাক্ট’ করতে পারেন তাহলে সেটা আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য, নিঃসংশয় এবং কর্মদক্ষ হিসেবে তুলে ধরবে।

হাত মোচড়ানো কিংবা হাতের তালু উরুতে ঘষা
শিষ্টাচার বিশেষজ্ঞ এবং লেখিকা রোজালিনা ওরোপেজা র‌্যান্ডাল এ সম্পর্কে বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ‘এই ধরনের আচরণের ভয়ংকর রকম বাজে প্রভাব রয়েছে, এতে করে প্রশ্নকর্তাদের মনযোগ আপনার বক্তব্য থেকে সরে যেতে পারে এবং এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারে।’

অগাস্টিনের মতে, ‘এই অভ্যাস পরিহার করতে চাইলে আপনি আপনার হাত দুটো হাঁটুর ওপরে রাখার পরিবর্তে আপনার সামনের টেবিলের ওপরে বা চেয়ারের হাতলে ভাঁজ করে রাখতে পারেন।’

‘হ্যাঁ, ভালো প্রশ্ন’ মন্তব্য করা
ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই এই প্রত্ত্যুতরটি করা প্রমাণ করে যে, আপনি কতটা বাছবিচারহীন! পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে উপরস্থ পদের কারো সঙ্গে প্রত্যেকটি কথায় ‘ভালো বলেছেন’ মন্তব্য করা প্রমাণ করে আপনি নিজস্ব মতামত দিতে অপারগ একজন মানুষ।

সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন আচরণ করা
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, ‘গুরুগম্ভীর মুহূর্তগুলোতে হঠাৎ হো হো করে হেসে ওঠা বা হায়েনার মত গগনবিদারী শব্দে হাসা কলিগদের মধ্যে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়।’
ভ্রু কোঁচকানো
ভ্রুকুটি করা বা ভ্রু কোঁচকানোর ফলে শুধুমাত্র আপনার অসন্তোষই প্রকাশ পায় না, পাশাপাশি এটা আপনাকে কম বুদ্ধিসম্পন্ন হিসেবে উপস্থাপন করে।

চুল মোচড়ানো
অন্যের সামনে নিজের চুল মোচড়ানো একটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু বদভ্যাস। চুল মোচড়ানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে আপনি কিছু হেয়ার স্টাইল যেমন- ফ্রেঞ্চ ট্যুইস্ট, বান অথবা স্মার্ট পনি টেলের আশ্রয় নিতে পারেন।
‘হুমম’, ‘আচ্ছা’ শব্দগুলোর রিপিট করা
মনোবিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেন জানিয়েছেন, ‘বারবার হুমম, আচ্ছা কিংবা লাইক শব্দগুলোর রিপিট করা আপনাকে অপরিপক্ক এবং অগোছালো হিসেবে উপস্থাপন করে।’

দাঁতে দাঁত ঘষা
অগাস্টিন বলেন, ‘আপনি যদি রাতের বেলা দাঁতে দাঁত ঘষেন তবে প্রচন্ড চাপের মুহূর্তগুলোকে এই অভ্যাসটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।’ এই বদভ্যাসটি রাগান্বিত হওয়া, উদ্ধত এমনকি উদ্বিগ্নতার বহিঃপ্রকাশ। আপনার যখন দাঁতে দাঁত ঘষার প্রবল ইচ্ছা জাগবে তখন গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে মুখের পেশীগুলোকে হালকা বিশ্রাম দিন, ধীরে ধীরে এর থেকে মুক্তি পাবেন।
দ্রুত কথা বলা
ইন্টারভিউ বোর্ডের প্রশ্নকর্তার সামনে নিজেকে দুর্বোধ্য প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি হড়বড় করে দ্রুত কথা বলার মাধ্যমে আপনি নিজেকে ধৈর্য্যহীন এবং নিয়ন্ত্রণ অক্ষম হিসেবে উপস্থাপন করবেন না। তার চেয়ে বরং প্রশ্নকর্তার কথা মাত্রা এবং দ্রুততার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কথা বলে আপনি নিজেকে একজন যথার্থ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

অযোগ্যতায় দায়ী ১১ অভ্যাস !

আপডেট সময় : ০৬:১২:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

যখন আমরা কোনো চাকরির জন্য ইন্টারভিউর সম্মুখীন হই কিংবা কর্মক্ষেত্রে উপরস্থ কারো সঙ্গে কথা বলি, তখন স্নায়ুবিক দুর্বলতার কারণে নিজের অজান্তেই আমাদের আচরণে লক্ষণীয় কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়।
এসব আচরণ বা কার্যকলাপের জন্য অন্যদের মনে হতে পারে আপনি হয়তো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অপারগ।
মেনে নেয়া কঠিন হলেও এসব আচরণ আপনার ভেতর থেকেই যেন চিৎকার করে উঠে- ‘আমি প্রস্তুত নই!’

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, সতর্কতাই এসব বেফাঁস বা দৃষ্টিকটুআচরণ দূর করার সবচেয়ে বড় উপায়।
নখ কামড়ানো
নখ কামড়ানো হল সবচেয়ে প্রচলিত একটি দৃষ্টিকটু বদভ্যাস। ক্যারিয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ অ্যামান্ডা অগাস্টিন বিজনেস ইনসাইডার-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটি শুধু আপনার নখ আর বহিঃত্বকেরই ক্ষতিসাধন করে না, পাশাপাশি আপনার ব্যক্তিত্বেরও হ্রাস ঘটায়।’

অবিরাম মোবাইল ফোন চালানো
‘আমার মতে যে মানুষটা তার মোবাইল ফোন বা ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে থাকতে পারে না, সে আসলে তার অনাগ্রহী মনোভাবকে প্রকাশ করে।’- ভিকি অলিভার, লেখক, ৩১০ স্মার্ট আনসার্স টু টাফ ইন্টারভিউ কোশ্চেনস এবং ৩১০ স্মার্ট আনসার্স টু টাফ বিজনেস এথিক কোশ্চেনস।

কথা বলার সময় চোখের দিকে না তাকানো
ইন্টারভিউয়ের সময়ে সরাসরি প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে না তাকিয়ে অর্থাৎ ‘আই কন্ট্যাক্ট’ না করে উত্তর দেয়াটা তাদের মনে আপনার সম্পর্কে এক ধরনের বিরূপ এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অগাস্টিনের মতে, ‘সরাসরি চোখের দিকে না তাকানোর ব্যাপারটা নিজেকে অপ্রস্তুত, অনাগ্রহী, অন্তঃসারশূণ্য এমনকি অহংকারী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে।’

কথা বলার সময়ের অন্তত অর্ধেকটা যদি আপনি ‘আই কন্ট্যাক্ট’ করতে পারেন তাহলে সেটা আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য, নিঃসংশয় এবং কর্মদক্ষ হিসেবে তুলে ধরবে।

হাত মোচড়ানো কিংবা হাতের তালু উরুতে ঘষা
শিষ্টাচার বিশেষজ্ঞ এবং লেখিকা রোজালিনা ওরোপেজা র‌্যান্ডাল এ সম্পর্কে বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ‘এই ধরনের আচরণের ভয়ংকর রকম বাজে প্রভাব রয়েছে, এতে করে প্রশ্নকর্তাদের মনযোগ আপনার বক্তব্য থেকে সরে যেতে পারে এবং এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারে।’

অগাস্টিনের মতে, ‘এই অভ্যাস পরিহার করতে চাইলে আপনি আপনার হাত দুটো হাঁটুর ওপরে রাখার পরিবর্তে আপনার সামনের টেবিলের ওপরে বা চেয়ারের হাতলে ভাঁজ করে রাখতে পারেন।’

‘হ্যাঁ, ভালো প্রশ্ন’ মন্তব্য করা
ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই এই প্রত্ত্যুতরটি করা প্রমাণ করে যে, আপনি কতটা বাছবিচারহীন! পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে উপরস্থ পদের কারো সঙ্গে প্রত্যেকটি কথায় ‘ভালো বলেছেন’ মন্তব্য করা প্রমাণ করে আপনি নিজস্ব মতামত দিতে অপারগ একজন মানুষ।

সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন আচরণ করা
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, ‘গুরুগম্ভীর মুহূর্তগুলোতে হঠাৎ হো হো করে হেসে ওঠা বা হায়েনার মত গগনবিদারী শব্দে হাসা কলিগদের মধ্যে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়।’
ভ্রু কোঁচকানো
ভ্রুকুটি করা বা ভ্রু কোঁচকানোর ফলে শুধুমাত্র আপনার অসন্তোষই প্রকাশ পায় না, পাশাপাশি এটা আপনাকে কম বুদ্ধিসম্পন্ন হিসেবে উপস্থাপন করে।

চুল মোচড়ানো
অন্যের সামনে নিজের চুল মোচড়ানো একটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু বদভ্যাস। চুল মোচড়ানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে আপনি কিছু হেয়ার স্টাইল যেমন- ফ্রেঞ্চ ট্যুইস্ট, বান অথবা স্মার্ট পনি টেলের আশ্রয় নিতে পারেন।
‘হুমম’, ‘আচ্ছা’ শব্দগুলোর রিপিট করা
মনোবিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেন জানিয়েছেন, ‘বারবার হুমম, আচ্ছা কিংবা লাইক শব্দগুলোর রিপিট করা আপনাকে অপরিপক্ক এবং অগোছালো হিসেবে উপস্থাপন করে।’

দাঁতে দাঁত ঘষা
অগাস্টিন বলেন, ‘আপনি যদি রাতের বেলা দাঁতে দাঁত ঘষেন তবে প্রচন্ড চাপের মুহূর্তগুলোকে এই অভ্যাসটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।’ এই বদভ্যাসটি রাগান্বিত হওয়া, উদ্ধত এমনকি উদ্বিগ্নতার বহিঃপ্রকাশ। আপনার যখন দাঁতে দাঁত ঘষার প্রবল ইচ্ছা জাগবে তখন গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে মুখের পেশীগুলোকে হালকা বিশ্রাম দিন, ধীরে ধীরে এর থেকে মুক্তি পাবেন।
দ্রুত কথা বলা
ইন্টারভিউ বোর্ডের প্রশ্নকর্তার সামনে নিজেকে দুর্বোধ্য প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি হড়বড় করে দ্রুত কথা বলার মাধ্যমে আপনি নিজেকে ধৈর্য্যহীন এবং নিয়ন্ত্রণ অক্ষম হিসেবে উপস্থাপন করবেন না। তার চেয়ে বরং প্রশ্নকর্তার কথা মাত্রা এবং দ্রুততার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কথা বলে আপনি নিজেকে একজন যথার্থ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন।