শনিবার | ২৯ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:২২:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৮১১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ হিসাবে আমরা সাধারণণত ভুল পজিশনে শোয়াকে দায়ী করি। তবে এটি প্রধান কারণ নয়।
শোবার ভুল পজিশনের কারণে যে নাক ডাকে, সে প্রতিদিন নাক ডাকে না। মানুষ প্রতিদিন সারাক্ষণ একইভাবে ঘুমায় না। তাই ভুল পজিশনে শোবার জন্য কিছু সময়ের জন্য নাসিকাগর্জন করতে পারে, তবে কখনোই প্রতিদিন তা হবে না।

নাক ডাকার প্রধান কারণ হলো, গলবিলের সংকোচন (Pharyngeal Occlusion)। আমাদের জাগ্রত অবস্থায় গলবিলের পেশীগুলো টানটান হয়ে থাকে। ঘুমের মধ্যে পেশীগুলো শিথিল হয়। এ কারণে গলবিলের যে রাস্তাটা দিয়ে বাতাস যায় সেই রাস্তাটা সংকুচিত হয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, এমনকি যাদের এ সমস্যা আছে তাদের ঘুম পর্যন্ত ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বলে Sleep Apnoea (সহজ বাংলায় ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসা)।

তবে এ সমস্যা সবার হয় না কারণ, সবার পেশী অত শিথিল হয় না। তবে যাদের হয় তাদের সংখ্যাও কম নয়। ৪০% পুরুষ আর ২০% নারী এ কারণে নাক ডাকেন।

এ বিষয়ে আরো কিছু তথ্য:
১) নারীদের তুলনায় পুরুষদের নাক ডাকার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ।

২) আপনি মোটা হলে, তখন গলবিলের আশেপাশের ফ্যাট আপনার গলবিলের ব্যাসার্ধ এমনিতেই কমিয়ে দিবে।

৩) পারিবারিক বা জিনগত কারণে আপনার গলবিল ভিন্ন রকম হতে পারে।

৪) অ্যলকোহল কিংবা ঘুমের ঔষধ খেলে এরকম হতে পারে। কারণ আপনার পেশীগুলোকে তারা বেশি শিথিল করে দিবে।

৫) স্ট্রোক হলে।

৬) এক্রোমেগালি (গ্রোথ হরমোন বেশি হলে)

৭) হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কম কাজ করলে)

৮) এছাড়াও type-ii ডায়াবেটিস, ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্স এর সাথেও সম্পর্ক আছে নাক ডাকার।

এছাড়া গলবিলের গঠনের ত্রুটির কারণেও নাক ডাকতে পারে। নাকের কোন পলিপ, নাকের দেয়ালের একপাশে চেপে যাওয়ার কারণেও নাক ডাকতে পারে। তবে এইসব কারণে নাক ডাকার হার খুব কম।

যেসব সমস্যা হতে পারে:
১) ঘুমে ব্যাঘাত হতে পারে, ব্যাপারটা এতোটাই তীব্র পর্যায়ে চলে যায় যে রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হয়।

২) সারাদিন ঝিমুনি ভাব হতে পারে। এর কারণে ড্রাইভিং করা বন্ধ রাখতে হয়, পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটে।

৩) পারিবারিক অশান্তি হয়।

৪) ফুসফুসে অসুখ যেমন COPD থাকলে রেস্পিরেটরী ফেইলর হতে পারে।

যা করতে হবে:
এর খুব ভালো চিকিৎসা আছে। ঘুমের আগে একটা মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, যেটা সার্বক্ষণিক পজিটিভ প্রেসার দিয়ে নালীকে খোলা রাখে। এছাড়া ম্যান্ডিবল এডভান্সমেন্ট ডিভাইসও উপকারি। তবে সার্জারিতে তেমন লাভ হয় না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ !

আপডেট সময় : ১২:২২:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ হিসাবে আমরা সাধারণণত ভুল পজিশনে শোয়াকে দায়ী করি। তবে এটি প্রধান কারণ নয়।
শোবার ভুল পজিশনের কারণে যে নাক ডাকে, সে প্রতিদিন নাক ডাকে না। মানুষ প্রতিদিন সারাক্ষণ একইভাবে ঘুমায় না। তাই ভুল পজিশনে শোবার জন্য কিছু সময়ের জন্য নাসিকাগর্জন করতে পারে, তবে কখনোই প্রতিদিন তা হবে না।

নাক ডাকার প্রধান কারণ হলো, গলবিলের সংকোচন (Pharyngeal Occlusion)। আমাদের জাগ্রত অবস্থায় গলবিলের পেশীগুলো টানটান হয়ে থাকে। ঘুমের মধ্যে পেশীগুলো শিথিল হয়। এ কারণে গলবিলের যে রাস্তাটা দিয়ে বাতাস যায় সেই রাস্তাটা সংকুচিত হয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, এমনকি যাদের এ সমস্যা আছে তাদের ঘুম পর্যন্ত ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বলে Sleep Apnoea (সহজ বাংলায় ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসা)।

তবে এ সমস্যা সবার হয় না কারণ, সবার পেশী অত শিথিল হয় না। তবে যাদের হয় তাদের সংখ্যাও কম নয়। ৪০% পুরুষ আর ২০% নারী এ কারণে নাক ডাকেন।

এ বিষয়ে আরো কিছু তথ্য:
১) নারীদের তুলনায় পুরুষদের নাক ডাকার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ।

২) আপনি মোটা হলে, তখন গলবিলের আশেপাশের ফ্যাট আপনার গলবিলের ব্যাসার্ধ এমনিতেই কমিয়ে দিবে।

৩) পারিবারিক বা জিনগত কারণে আপনার গলবিল ভিন্ন রকম হতে পারে।

৪) অ্যলকোহল কিংবা ঘুমের ঔষধ খেলে এরকম হতে পারে। কারণ আপনার পেশীগুলোকে তারা বেশি শিথিল করে দিবে।

৫) স্ট্রোক হলে।

৬) এক্রোমেগালি (গ্রোথ হরমোন বেশি হলে)

৭) হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কম কাজ করলে)

৮) এছাড়াও type-ii ডায়াবেটিস, ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্স এর সাথেও সম্পর্ক আছে নাক ডাকার।

এছাড়া গলবিলের গঠনের ত্রুটির কারণেও নাক ডাকতে পারে। নাকের কোন পলিপ, নাকের দেয়ালের একপাশে চেপে যাওয়ার কারণেও নাক ডাকতে পারে। তবে এইসব কারণে নাক ডাকার হার খুব কম।

যেসব সমস্যা হতে পারে:
১) ঘুমে ব্যাঘাত হতে পারে, ব্যাপারটা এতোটাই তীব্র পর্যায়ে চলে যায় যে রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হয়।

২) সারাদিন ঝিমুনি ভাব হতে পারে। এর কারণে ড্রাইভিং করা বন্ধ রাখতে হয়, পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটে।

৩) পারিবারিক অশান্তি হয়।

৪) ফুসফুসে অসুখ যেমন COPD থাকলে রেস্পিরেটরী ফেইলর হতে পারে।

যা করতে হবে:
এর খুব ভালো চিকিৎসা আছে। ঘুমের আগে একটা মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, যেটা সার্বক্ষণিক পজিটিভ প্রেসার দিয়ে নালীকে খোলা রাখে। এছাড়া ম্যান্ডিবল এডভান্সমেন্ট ডিভাইসও উপকারি। তবে সার্জারিতে তেমন লাভ হয় না।