শিরোনাম :
Logo শেখ হাসিনা তরুনদের শরীরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে গেছেন: ফারুক ওয়াসিফ Logo বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে এআই: ডাব্লিউটিও Logo আফগানিস্তানকে টপকে নবম স্থানে বাংলাদেশ Logo বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে Logo ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা: রোহিঙ্গা, সংস্কার ও গণতন্ত্র ইস্যু প্রাধান্য পাবে এজেন্ডায় Logo কয়রায় মিথ্যা মানববন্ধনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo পলাশবাড়ীতে ভেঙ্গেপড়া ব্রীজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল। Logo সিরাজগঞ্জে রেলওয়ে প্রকল্প থেকে রেলের শীট ও ভ্যান জব্দ, চুরি আতঙ্কে এলাকাবাসী Logo সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন Logo চাঁদপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম এন জামিউল হিকমা

ঢাকার দোহারে বৃদ্ধা হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকার দোহার থানার ঘাটা গ্রামে আয়েশা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চারজনের মুত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারিক এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন- শাহনাজ বেগম, রাজন খাঁ, সুমন বয়াতি ও ফজলে ওরফে ফজল। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে শাহনাজ বেগম ও ফজল আপন ভাই-বোন এবং অপর দুই আসামি ফজলের বন্ধু।

রায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিলের জন্য সাত দিনের সময়ও দিয়েছেন আদালত।

রায়ে মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজা বেগম সাঈদা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনির হোসেন, খন্দকার সিদ্দিকুর রহমান ও শাহনাজ সাথী অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ইফতারের সময় দোহারের ঘাটা গ্রামে নিজ বাড়িতে ভাড়াটিয়া শাহনাজ বেগম তার সহযোগীদের নিয়ে বৃদ্ধা আয়েশা বেগমের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর আসামিরা নিহতের শরীরে থাকা দুই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। ঘটনার পর দিন নিহতের ছেলে আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের পর দোহার থানার এসআই মজিবুর রহমান চার আসামির বিরুদ্ধে ওই বছর ১৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় চার আসামি গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০০৯ সালের ৪ মার্চ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। বিচারকালে আদালত মামলাটির ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা তরুনদের শরীরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে গেছেন: ফারুক ওয়াসিফ

ঢাকার দোহারে বৃদ্ধা হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড !

আপডেট সময় : ০২:৪৪:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকার দোহার থানার ঘাটা গ্রামে আয়েশা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চারজনের মুত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারিক এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন- শাহনাজ বেগম, রাজন খাঁ, সুমন বয়াতি ও ফজলে ওরফে ফজল। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে শাহনাজ বেগম ও ফজল আপন ভাই-বোন এবং অপর দুই আসামি ফজলের বন্ধু।

রায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিলের জন্য সাত দিনের সময়ও দিয়েছেন আদালত।

রায়ে মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজা বেগম সাঈদা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনির হোসেন, খন্দকার সিদ্দিকুর রহমান ও শাহনাজ সাথী অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ইফতারের সময় দোহারের ঘাটা গ্রামে নিজ বাড়িতে ভাড়াটিয়া শাহনাজ বেগম তার সহযোগীদের নিয়ে বৃদ্ধা আয়েশা বেগমের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর আসামিরা নিহতের শরীরে থাকা দুই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। ঘটনার পর দিন নিহতের ছেলে আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের পর দোহার থানার এসআই মজিবুর রহমান চার আসামির বিরুদ্ধে ওই বছর ১৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় চার আসামি গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০০৯ সালের ৪ মার্চ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। বিচারকালে আদালত মামলাটির ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।