শিরোনাম :
Logo রাবি ছাত্রদল সভাপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ রেজিস্ট্রার ও উপ-উপাচার্যের Logo চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি সেবার দরজায় এখন কাঁদা-পানি, ঝুঁকিতে রোগী-স্বজন Logo বিএনডি ফোরামের উদ্যোগে ১৬তম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত, চারা পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা Logo ড. ইউনূস ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন জামায়াত আমির Logo পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo ভারতের শিশু হোমে আটক থাকা দুই কিশোর দেশে ফিরেছে Logo বিরল রোগে আক্রান্ত কলিম উল্যাহ’র বাঁচার আকুতি,সামাজিক সহানুভূতির আবেদন অসহায় পরিবারের Logo সাজিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর Logo প্রত্যাশার বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত

গ্রেনেড হামলা মামলায় দুজনের সাফাই সাক্ষ্য !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:২৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দুজনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের আদালতে তারা এ সাফাই সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সাক্ষীরা হলেন- মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি। এদের মধ্যে মহিবুল্লাহ আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুলের পক্ষে এবং ডা. জাফর নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। মহিবুল্লাহর সাক্ষ্য শেষ হলেও ডা. জাফরের শেষ হয়নি।

এর আগে ১২ জুন মামলাটিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি হয়। আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩১ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

মামলাটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি।

মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।

অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবি ছাত্রদল সভাপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ রেজিস্ট্রার ও উপ-উপাচার্যের

গ্রেনেড হামলা মামলায় দুজনের সাফাই সাক্ষ্য !

আপডেট সময় : ১১:২৩:২৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দুজনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের আদালতে তারা এ সাফাই সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সাক্ষীরা হলেন- মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি। এদের মধ্যে মহিবুল্লাহ আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুলের পক্ষে এবং ডা. জাফর নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। মহিবুল্লাহর সাক্ষ্য শেষ হলেও ডা. জাফরের শেষ হয়নি।

এর আগে ১২ জুন মামলাটিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি হয়। আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩১ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

মামলাটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি।

মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।

অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান।