নিউজ ডেস্ক:
ভারতের ২০১৬ সালের সবচেয়ে বাজে ও হতাশাজনক হিন্দি সিনেমার কারণে পরিচালক, অভিনেতা ও অভিনেত্রী খুবই সমালোচিত হয়। তাদের ছবিগুলো বক্স অফিস ব্যবসা সফল্য হয়নি।
শিভায় : শিভায়ের মতো মর্মান্তিক এবং যন্ত্রণাদায়ক অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাহলে আপনার প্রতি রইল সমবেদনা। আর অজয় দেবগনকেও নিজের চরিত্র বাছাইয়ে আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ হতে হবে। সিনেমা, স্ক্রিপ্ট এবং পরিচালকের ক্ষেত্রেও তাকে হুঁশিয়ার হতে হবে।
মহেঞ্জোদাড়ো : এটি সম্ভবত এই বছরের সবচেয়ে বড় হতাশা ছবি। সিনেমাটি আশুতোষ গোয়াড়িকরের ওপর আমাদের বিশ্বাসে চিড় ধরিয়ে দিয়েছে। আর এ থেকে ভারতীয় ভিএফএক্স এর দুর্দশাটিও দেখা গেল। আমরা আশা করব পুজা হেজও তার ক্যারিয়ার পরিবর্তন করবেন। তার বুঝা উচিৎ ছিল এটা তার পুরো জীবনের জন্যই একটি অভিষেক হতে যাচ্ছিল। আর হৃতিক রোশনকেও তিনি যা বেশি ভালো করেন সেকাজেই ফিরে যাওয়া উচিৎ নাচা, দেখতে সুন্দর লাগা এবং একটি সিনেমার অন্তত ৭০ ভাগ জুড়ে খালি গায়ে থাকা।
বার বার দেখো : এই সিনেমাটি কেউই দুবার দেখতে চাইবে না। আর অনুভব পাল এই ধরনের গল্প লিখতে পারেন তা কল্পনা করাও কঠিন।
ইশক ক্লিক : আপনি যদি সিনেমাটির নাম শুনে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চিতভাবেই একজন সিনেমাখোর। অথবা আপনি এখন বেকার। ফলে বসে বসে শুধু সিনেমা দেখেন। আপনি যদি এটি দেখে থাকেন তাহলে আপনাকে আমি মদ কিনে দেব খাওয়ার জন্য।
তেরা সুরুর : এতে অভিনয় করেছেন হিমেশ রেশামিয়া। সিনেমাটি দেখার পর প্রশ্ন জাগবে, নিজেকে নিয়ে সিনেমা বানিয়ে অপচয় করার জন্য টাকা কোথায় পান তিনি।
আজহার : সবাই যখন ভাবছিল ইমরান হাশমি হয়তো কোনো খারাপ সিনেমা করতে পারেন না ঠিক সে সময়ই তিনি আজহার এর মতো একটি হাস্যকর ইনিংস খেললেন। কিছু্ সিনেমাটিকে হিট করতে পারেনি- পঙ্কিল আখ্যান, অপ্রয়োজনীয় রম্য, তথ্যগত ত্রুটি এবং নারগিস ফাখরির হাঁসের মতো ঠোঁট। এটি বানানোর পর একতা কাপুর এমনকি কিছুদিনের জন্য সিনেমা বানানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেন।
ইশক ফরএভার : মডেলদের পরিষ্কার বুঝা উচিৎ যে, মডেলিং অ্যাসাইনমেন্ট ফুরিয়ে আসলে অভিনয়ই তাদের ক্যারিয়ারের পরবর্তী ধাপ নয়। এর অভিনয় এতটাই বাজে যে ১৫ মিনিটেই অরুচি ধরে যাবে। আর এর নামটিও প্রতিশ্রুতিশীল হয়নি।
মাস্তিজাদে : একতা কাপুর ছাড়া অন্যরাও তুষার কাপুরকে সিনেমায় নেন। প্রিতিশ নন্দী এই অখাদ্যটি বানিয়েছেন দু্ই যমজ বোনের গল্প নিয়ে। যারা যৌনাসক্তদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র চালান। ভীর দাসও এতে অভিনয় করেছেন। সানি লিওন এতে অভিনয় করেছেন ডাবল রোলে।
লাভ গেমস : এতেও মডেলের অভিনয় অভিষেক হয়েছে। বিক্রম ভাটের গতানুগতিক ধাঁচের (যৌনতা-রক্ত-অর্থ) একটি সিনেমা এটি। এক অনেকটা একটি সফট পর্নও বলা চলে। তবে এর যৌনতা সংক্রান্ত দৃশ্যগুলোতে কলাকুশলীদের অভিনয় একদমই ভালো হয়নি। এমন অনীহা নিয়ে কাউকে কখনো যৌন দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
কেয়া কুল হ্যায় হাম ৩ : এই নামে তিন তিনটি সিনেমা বানানো বেশ তাজ্জব করার মতো একটি বিষয়। আমেরিকান পাই এর নকল করা সিনেমা পরপর কতবার ভালো লাগে? অথবা এমনও হতে পারে একতা কাপুর তার শিশু ভাইয়ের জন্য কর্মের সংস্থান করছেন। কিন্তু একতার জানা উচিৎ কোনো সিনেমায় যদি তুষার কাপুর থাকেন তাহলে শুধু এই একটি কারণেই সিনেমাটি থেকে দূরে থাকা উচিৎ।