শনিবার | ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন Logo শিবির নেতার বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের অভিযোগ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী  Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ

মেহেরপুর পৌরসভায় মেয়রের অপেক্ষায় পৌরবাসী

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:৩১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

মাসুদ রানা, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ  মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে জটিলতা যেন পিছু ছাড়ছে না। ২৫ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও মেয়র পদের ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে পৌরবাসিকে। দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ায় চুড়ান্ত ফলাফল দেখতে পাননি পৌরবাসী। তাই পৌরবাসীর অপেক্ষার পালা ‘শেষ হয়েও হলো না’ এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
গত ২৫ এপ্রিল মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র প্রার্থীদের একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা ছিল। সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সুষ্ট নির্বাচন করতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। প্রায় দুই ঘন্টা ভোট গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছিল এই ভোট পৌর নাগরিকদের কাছে কতটা কাঙ্খিত ছিল। এরপর সকাল পৌনে দশটার দিকে আকস্মিকভাবে ৭নং ওয়ার্ডের সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন রির্টানিং অফিসার। ভোটার ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়েও তারা ভোট দিতে পারিনি। এতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুনরায় ভোট গ্রহণ না হওয়ায় মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডেন কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল আটকে আছে।
১৩ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ফলাফলে নৌকা প্রতীক ১ হাজার ৩৬৮ ভোটে এগিয়ে থাকে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন (নৌকা) ৯ হাজার ২০৯ ভোট পান। সব জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে বর্তমান মেয়রকে পিছনে ফেলে মূল প্রতিদ্বন্দীতায় আসেন বিএনপি প্রার্থী। বিএনপি প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস (ধানের শীষ) পান ৭ হাজার ৮৪১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু (নারকেল গাছ) ২ হাজার ৬৩২ ভোট ও প্রার্থী নিশান সাবের (মোবাইল ফোন) ৫৭ ভোট পান।
স্থগিত হওয়া কেন্দ্র দুটির ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৫৬৩। সে হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী নির্ধারণে কেন্দ্র দুটিতে পুনরায় ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে প্রতিদ্বন্দীতা থেকে ছিটকে পড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও নিশান সাবের। পুনরায় ভোট গ্রহণ হলে প্রতিদ্বন্দীতা হবে মূলত নৌকা ও ধানের শীষের মাঝে। যেকোন সময় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র দুটিতে পুনরায় ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করবে বলে জানান জেলা নির্বাচন অফিসার।
ভোটাররা বলছেন, পুনরায় ভোট গ্রহণের কারণে ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে। ২৫ তারিখে ভোটের দিন যে ফলাফল হতো তা এখন নাও হতে পারে। অপরদিকে আর্থিক অপব্যয়ের মাঝে পড়েছেন প্রার্থীরা। নানা অজানা আশংকা বিরাজ করছেন ভোটার ও প্রার্থীদের মনে। কবে ভোট গ্রহণ হবে ? এবং কে বিজয়ী হবেন তা নিয়ে আবারো শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
এ নির্বাচনে মেহেরপুর পৌরসভায় প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীক দেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এতে জাতীয় নির্বাচনের মতই আবহ সৃষ্টি হয়। এমনটি জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ট পরিবেশে দুটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন পৌরবাসী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর পৌরসভায় মেয়রের অপেক্ষায় পৌরবাসী

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৩১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

মাসুদ রানা, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ  মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে জটিলতা যেন পিছু ছাড়ছে না। ২৫ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও মেয়র পদের ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে পৌরবাসিকে। দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ায় চুড়ান্ত ফলাফল দেখতে পাননি পৌরবাসী। তাই পৌরবাসীর অপেক্ষার পালা ‘শেষ হয়েও হলো না’ এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
গত ২৫ এপ্রিল মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র প্রার্থীদের একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা ছিল। সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সুষ্ট নির্বাচন করতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। প্রায় দুই ঘন্টা ভোট গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছিল এই ভোট পৌর নাগরিকদের কাছে কতটা কাঙ্খিত ছিল। এরপর সকাল পৌনে দশটার দিকে আকস্মিকভাবে ৭নং ওয়ার্ডের সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন রির্টানিং অফিসার। ভোটার ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়েও তারা ভোট দিতে পারিনি। এতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুনরায় ভোট গ্রহণ না হওয়ায় মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডেন কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল আটকে আছে।
১৩ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ফলাফলে নৌকা প্রতীক ১ হাজার ৩৬৮ ভোটে এগিয়ে থাকে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন (নৌকা) ৯ হাজার ২০৯ ভোট পান। সব জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে বর্তমান মেয়রকে পিছনে ফেলে মূল প্রতিদ্বন্দীতায় আসেন বিএনপি প্রার্থী। বিএনপি প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস (ধানের শীষ) পান ৭ হাজার ৮৪১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু (নারকেল গাছ) ২ হাজার ৬৩২ ভোট ও প্রার্থী নিশান সাবের (মোবাইল ফোন) ৫৭ ভোট পান।
স্থগিত হওয়া কেন্দ্র দুটির ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৫৬৩। সে হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী নির্ধারণে কেন্দ্র দুটিতে পুনরায় ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে প্রতিদ্বন্দীতা থেকে ছিটকে পড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও নিশান সাবের। পুনরায় ভোট গ্রহণ হলে প্রতিদ্বন্দীতা হবে মূলত নৌকা ও ধানের শীষের মাঝে। যেকোন সময় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র দুটিতে পুনরায় ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করবে বলে জানান জেলা নির্বাচন অফিসার।
ভোটাররা বলছেন, পুনরায় ভোট গ্রহণের কারণে ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে। ২৫ তারিখে ভোটের দিন যে ফলাফল হতো তা এখন নাও হতে পারে। অপরদিকে আর্থিক অপব্যয়ের মাঝে পড়েছেন প্রার্থীরা। নানা অজানা আশংকা বিরাজ করছেন ভোটার ও প্রার্থীদের মনে। কবে ভোট গ্রহণ হবে ? এবং কে বিজয়ী হবেন তা নিয়ে আবারো শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
এ নির্বাচনে মেহেরপুর পৌরসভায় প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীক দেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এতে জাতীয় নির্বাচনের মতই আবহ সৃষ্টি হয়। এমনটি জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ট পরিবেশে দুটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন পৌরবাসী।