শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

খাওয়ার সময় যে তিন ভুলের কারণে বদহজম হয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:০০:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভাবছেন কী এমন খেয়েছি? তারপরও বদহজম, পেটে অস্বস্তি, পেট ফাঁপার সমস্যা লেগেই রয়েছে। উত্তর খুঁজতে তখন ছুটতে হয় চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই। দেখুন তো এই ৩টি বদভ্যাস আপনার রয়েছে কিনা? থাকলে আজই বদলে ফেলুন। বদহজমের প্রধান কারণ এই তিন বদভ্যাস।

খেতে বসে প্রচুর পানি পান
খাওয়ার সময় পানি না খাওয়াই ভাল। যদি পানি ছাড়া খেতে না পারেন তা হলে ছোট ছোট চুমুক দিন গ্লাসে। অল্প অল্প পানি খাদ্যানালীতে খাবারের চলমানতা ভাল রাখবে। কিন্তু অতিরিক্ত পানি পান করলে অস্বস্তি ও বদহজমের সমস্যা হতে পারে।

কারণ: আমরা খাওয়ার পর পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নির্গত হয়। হজমের জন্য এই অ্যাসিড অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। খুব বেশি পানি খেলে এই অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে হজমে সমস্যা হয়।

যা করা উচিত: খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে ও এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন। খেতে বসে প্রয়োজন হলে ছোট ছোট চুমুক দিন।

এক সঙ্গে প্রচুর স্টার্চ ও প্রোটিন খাওয়া
মাংস দিয়ে পেট ভরে ভাত, বা স্টেকের সঙ্গে ম্যাশড পটেটো। এই ধরনের কম্বিনেশন মানেই সুস্বাদু। প্রচুর পরিমাণ স্টার্চ (ব্রেড, পাস্তা, ভাত বা আলু) ও প্রোটিন (মাছ, চিকেন, মাটন, বিফ বা ডিম) এক সঙ্গে খেলে বদহজম ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে। তার কারণ, স্টার্চ খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়, কিন্তু প্রোটিনের পরিপাক ধীর গতিতে হয়। কিন্তু যেহেতু পাকস্থলীতে সব মিশে থাকে তাই যতক্ষণ না প্রোটিন পরিপাক সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ স্টার্চকেও অপেক্ষা করে থাকতে হয়। আর স্টার্চ বেশিক্ষণ থাকলে ফারমেন্ট করে যায় ও গ্যাস উত্পন্ন করে।

যা করা উচিত: পারলে স্টার্চ খেয়ে নিয়ে তারপর প্রোটিন খান। যদি মনে হয় মাংস বেশি খাবেন, তাহলে সেদিন ভাতের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিন। মাংস প্রিয় বলে বেশি ভাত খেয়ে নিলেই সমস্যায় পড়বেন।

খাবারের সঙ্গে বরফ ঠাণ্ডা পানি পান
আবার সেই পানি প্রসঙ্গ। খাওয়ার সময় পানি পানের অভ্যাস থাকলে ছোট ছোট চুমুকের কথা আগেই বলা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই আবার একদম ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা পানি ছাড়া পান করতে পারেন না। এতে কিন্তু সমস্যা বাড়ে। খাওয়ার সময় পানি পান করতে হলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন। বেশি ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। কারণ বরফ ঠাণ্ডা পানি রক্তনালী সংকোচন করে।

ফলে খাবার হজম হতে ও খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণে দেরি হয়। সেই সঙ্গেই ঠাণ্ডা পানি খাবারের সঙ্গে খাওয়া যে কোন ফ্যাট জমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে ফ্যাট হজম করা আরও কঠিন হয়। উপরন্তু, ঠাণ্ডা পানি পানের ফলে শরীরের এনার্জি হজমের কাজে ব্যয় না হয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। ফলে খাওয়ার পর অস্বস্তি বাড়ে।

যা করা উচিত: যদি আপনি একান্তই পানি ছাড়া খাবার গিলতে না পারেন তা হলে লেবু, জল বা গ্রিন টি নিয়ে খেতে বসুন। খাবারের সঙ্গে খেতে থাকুন ধীরে ধীরে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

খাওয়ার সময় যে তিন ভুলের কারণে বদহজম হয় !

আপডেট সময় : ১২:০০:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভাবছেন কী এমন খেয়েছি? তারপরও বদহজম, পেটে অস্বস্তি, পেট ফাঁপার সমস্যা লেগেই রয়েছে। উত্তর খুঁজতে তখন ছুটতে হয় চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই। দেখুন তো এই ৩টি বদভ্যাস আপনার রয়েছে কিনা? থাকলে আজই বদলে ফেলুন। বদহজমের প্রধান কারণ এই তিন বদভ্যাস।

খেতে বসে প্রচুর পানি পান
খাওয়ার সময় পানি না খাওয়াই ভাল। যদি পানি ছাড়া খেতে না পারেন তা হলে ছোট ছোট চুমুক দিন গ্লাসে। অল্প অল্প পানি খাদ্যানালীতে খাবারের চলমানতা ভাল রাখবে। কিন্তু অতিরিক্ত পানি পান করলে অস্বস্তি ও বদহজমের সমস্যা হতে পারে।

কারণ: আমরা খাওয়ার পর পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নির্গত হয়। হজমের জন্য এই অ্যাসিড অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। খুব বেশি পানি খেলে এই অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে হজমে সমস্যা হয়।

যা করা উচিত: খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে ও এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন। খেতে বসে প্রয়োজন হলে ছোট ছোট চুমুক দিন।

এক সঙ্গে প্রচুর স্টার্চ ও প্রোটিন খাওয়া
মাংস দিয়ে পেট ভরে ভাত, বা স্টেকের সঙ্গে ম্যাশড পটেটো। এই ধরনের কম্বিনেশন মানেই সুস্বাদু। প্রচুর পরিমাণ স্টার্চ (ব্রেড, পাস্তা, ভাত বা আলু) ও প্রোটিন (মাছ, চিকেন, মাটন, বিফ বা ডিম) এক সঙ্গে খেলে বদহজম ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে। তার কারণ, স্টার্চ খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়, কিন্তু প্রোটিনের পরিপাক ধীর গতিতে হয়। কিন্তু যেহেতু পাকস্থলীতে সব মিশে থাকে তাই যতক্ষণ না প্রোটিন পরিপাক সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ স্টার্চকেও অপেক্ষা করে থাকতে হয়। আর স্টার্চ বেশিক্ষণ থাকলে ফারমেন্ট করে যায় ও গ্যাস উত্পন্ন করে।

যা করা উচিত: পারলে স্টার্চ খেয়ে নিয়ে তারপর প্রোটিন খান। যদি মনে হয় মাংস বেশি খাবেন, তাহলে সেদিন ভাতের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিন। মাংস প্রিয় বলে বেশি ভাত খেয়ে নিলেই সমস্যায় পড়বেন।

খাবারের সঙ্গে বরফ ঠাণ্ডা পানি পান
আবার সেই পানি প্রসঙ্গ। খাওয়ার সময় পানি পানের অভ্যাস থাকলে ছোট ছোট চুমুকের কথা আগেই বলা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই আবার একদম ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা পানি ছাড়া পান করতে পারেন না। এতে কিন্তু সমস্যা বাড়ে। খাওয়ার সময় পানি পান করতে হলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন। বেশি ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। কারণ বরফ ঠাণ্ডা পানি রক্তনালী সংকোচন করে।

ফলে খাবার হজম হতে ও খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণে দেরি হয়। সেই সঙ্গেই ঠাণ্ডা পানি খাবারের সঙ্গে খাওয়া যে কোন ফ্যাট জমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে ফ্যাট হজম করা আরও কঠিন হয়। উপরন্তু, ঠাণ্ডা পানি পানের ফলে শরীরের এনার্জি হজমের কাজে ব্যয় না হয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। ফলে খাওয়ার পর অস্বস্তি বাড়ে।

যা করা উচিত: যদি আপনি একান্তই পানি ছাড়া খাবার গিলতে না পারেন তা হলে লেবু, জল বা গ্রিন টি নিয়ে খেতে বসুন। খাবারের সঙ্গে খেতে থাকুন ধীরে ধীরে।