ইবি’র প্রশাসন ভবনকে ‘প্রহসন ভবন’ লিখে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসনের ভূমিকার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসন ভবনের নামফলক পরিবর্তন করে ‘প্রহসন ভবন’ লিখে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে প্রশাসন ভবনের নামফলকে লাল কালি দিয়ে ‘প্রশাসন ভবন’ লেখাটি কেটে দিয়ে তার ওপর লিখে দেওয়া হয় ‘প্রহসন ভবন’।

ভবনের সামনের দেয়ালজুড়ে শিক্ষার্থীরা আরও নানা ক্ষোভের কথা লিখে দেন। এর মধ্যে ছিল— “প্রো-ভিসি ২৪ ঘণ্টা কই ছিলেন?”, “খাবার দিলে সবাই হাজির, লাশ পড়লে নেই নজির”, “বাজেটের হিসাব কই?”, “এখানে কিচ্ছু নাই, এখানে কেন থাকবো?” — এমন অনেক স্লোগান।

আন্দোলনকারীরা জানান, সহপাঠী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের উদাসীনতা ও গড়িমসির প্রতিবাদে তাঁরা এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের ভাষায়, এ ধরনের ‘প্রহসনমূলক’ আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “উপাচার্য বর্তমানে ইংল্যান্ডে ১২ দিনের সফরে রয়েছেন। আমি কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করছি, বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। ছাত্রদের সহযোগিতা ছাড়া প্রশাসন কিছুই করতে পারে না। জনবল সীমিত, তবুও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।”

এর আগে সকালে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে যোগ দেন এবং দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানান। পরে বিকালে প্রশাসনের আশ্বাসে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি’র প্রশাসন ভবনকে ‘প্রহসন ভবন’ লিখে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৮:১৪:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসনের ভূমিকার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসন ভবনের নামফলক পরিবর্তন করে ‘প্রহসন ভবন’ লিখে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে প্রশাসন ভবনের নামফলকে লাল কালি দিয়ে ‘প্রশাসন ভবন’ লেখাটি কেটে দিয়ে তার ওপর লিখে দেওয়া হয় ‘প্রহসন ভবন’।

ভবনের সামনের দেয়ালজুড়ে শিক্ষার্থীরা আরও নানা ক্ষোভের কথা লিখে দেন। এর মধ্যে ছিল— “প্রো-ভিসি ২৪ ঘণ্টা কই ছিলেন?”, “খাবার দিলে সবাই হাজির, লাশ পড়লে নেই নজির”, “বাজেটের হিসাব কই?”, “এখানে কিচ্ছু নাই, এখানে কেন থাকবো?” — এমন অনেক স্লোগান।

আন্দোলনকারীরা জানান, সহপাঠী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের উদাসীনতা ও গড়িমসির প্রতিবাদে তাঁরা এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের ভাষায়, এ ধরনের ‘প্রহসনমূলক’ আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “উপাচার্য বর্তমানে ইংল্যান্ডে ১২ দিনের সফরে রয়েছেন। আমি কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করছি, বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। ছাত্রদের সহযোগিতা ছাড়া প্রশাসন কিছুই করতে পারে না। জনবল সীমিত, তবুও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।”

এর আগে সকালে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে যোগ দেন এবং দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানান। পরে বিকালে প্রশাসনের আশ্বাসে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেন।