শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo পাইকোশায় ধানের চাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ Logo ইবিতে দুর্গাপূজার মধ্যে পরীক্ষা না নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি Logo চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo কয়রা হরিণের মাংস উদ্ধার Logo শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ইবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে নবগঠিত গভর্নিংবডি পরিচিতি ও মতবিনিময়ে ভরপুর ছিলো প্রাণের উচ্ছ্বাস

হৃদরোগে মৃত্যুরহার কমাতে চুয়াডাঙ্গায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা

হৃদরোগে মৃত্যুর হার কমাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্ণারে সেবার মান উন্নত করা হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের ফলে হার্ট এটাক, স্ট্রোক ও অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ।

উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসসহ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডি) কর্মসূচীর উদ্যোগে ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগে হৃদরোগে মৃত্যুরহার কমাতে সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিনব্যাপি চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের এ সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

সিভিল সার্জন বলেন, অসংক্রামক রোগ সারা বিশ্বে প্রধান মৃত্যুর প্রধান কারণ। বিশ্বে প্রতিবছর ৪ কোটির বেশি মানুষ অসংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করেন, এই হার মোট মৃত্যুর শতকরা ৭৪ ভাগ। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে এই হার আরো বেশি।

সিভিল সার্জন বলেন, আমাদের দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর শতকরা ৩৪ ভাগ সংগঠিত হয় হৃদরোগে। ধূমপান ও তামাক বা তামাকজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার, এলকোহল বা মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, শারিরিক পরিশ্রম না করার বিষয়গুলো এনসিডি জনিত দুই তৃতীয়াংশ মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত। বিশ্বায়ন ও নগরায়নের ফলে বায়ূদূষণ, খাদ্যাভাস ও জীবনচারনের পরিবর্তনের ফলে অধিক মাত্রায় মানুষ অসংক্রামক রোগে বিশেষত উচ্চরক্তচাপ ও ডায়বেটিসের শিকার হচ্ছেন। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে মানুষের জীবনচারন পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হবে।

সিভিল সার্জন আরো বলেন, এ বছরের মধ্যে দেশে হৃদরোগ জনিত মৃত্যুরহার এক চতুর্থ অংশ কমিয়ে শতকরা ২৫ ভাগে, উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপকতা কমিয়ে ১৮ ভাগে নিয়ে আসা এবং একই সাথে লবণ ব্যবহারের হার শতকরা ২৫ ভাগ কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর এনসিডি কর্ণারের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস সহ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা, পরামর্শ ও ঔষধ প্রদান করছে।
এদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপের রোগী পাওয়া যায়, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই কর্ণার গুলো থেকে প্রাপ্তবয়সী সকলকে আধুনিক ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে রক্তচাপ পরিমাপ করা হবে এবং সকল রোগীর তথ্য সিম্পল এ্যাপস ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হবে এবং তাদের উচ্চরক্তচাপ ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের হার মনিটরিং এর কাজ করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডা. শামীম জুবায়ের, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ), তিন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন, সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. উদিত প্রয়াস সিকদার প্রমূখ।

সারাদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, নার্স, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, স্টোরকিপার ও পরিসংখ্যানবিদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক

হৃদরোগে মৃত্যুরহার কমাতে চুয়াডাঙ্গায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

হৃদরোগে মৃত্যুর হার কমাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্ণারে সেবার মান উন্নত করা হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের ফলে হার্ট এটাক, স্ট্রোক ও অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ।

উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসসহ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডি) কর্মসূচীর উদ্যোগে ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগে হৃদরোগে মৃত্যুরহার কমাতে সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিনব্যাপি চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের এ সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

সিভিল সার্জন বলেন, অসংক্রামক রোগ সারা বিশ্বে প্রধান মৃত্যুর প্রধান কারণ। বিশ্বে প্রতিবছর ৪ কোটির বেশি মানুষ অসংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করেন, এই হার মোট মৃত্যুর শতকরা ৭৪ ভাগ। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে এই হার আরো বেশি।

সিভিল সার্জন বলেন, আমাদের দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর শতকরা ৩৪ ভাগ সংগঠিত হয় হৃদরোগে। ধূমপান ও তামাক বা তামাকজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার, এলকোহল বা মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, শারিরিক পরিশ্রম না করার বিষয়গুলো এনসিডি জনিত দুই তৃতীয়াংশ মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত। বিশ্বায়ন ও নগরায়নের ফলে বায়ূদূষণ, খাদ্যাভাস ও জীবনচারনের পরিবর্তনের ফলে অধিক মাত্রায় মানুষ অসংক্রামক রোগে বিশেষত উচ্চরক্তচাপ ও ডায়বেটিসের শিকার হচ্ছেন। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে মানুষের জীবনচারন পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হবে।

সিভিল সার্জন আরো বলেন, এ বছরের মধ্যে দেশে হৃদরোগ জনিত মৃত্যুরহার এক চতুর্থ অংশ কমিয়ে শতকরা ২৫ ভাগে, উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপকতা কমিয়ে ১৮ ভাগে নিয়ে আসা এবং একই সাথে লবণ ব্যবহারের হার শতকরা ২৫ ভাগ কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর এনসিডি কর্ণারের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস সহ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা, পরামর্শ ও ঔষধ প্রদান করছে।
এদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপের রোগী পাওয়া যায়, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই কর্ণার গুলো থেকে প্রাপ্তবয়সী সকলকে আধুনিক ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে রক্তচাপ পরিমাপ করা হবে এবং সকল রোগীর তথ্য সিম্পল এ্যাপস ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হবে এবং তাদের উচ্চরক্তচাপ ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের হার মনিটরিং এর কাজ করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডা. শামীম জুবায়ের, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ), তিন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন, সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. উদিত প্রয়াস সিকদার প্রমূখ।

সারাদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, নার্স, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, স্টোরকিপার ও পরিসংখ্যানবিদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।