কলার পুষ্টিগুন সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। পুষ্টির ঘাটতি হলে অথবা শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে, কলা খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন ধরণের রোগ।
কলা খুবই উপকারী ফল, তবে দিনে ২টি বা ৩টির বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
বেশি কলা খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে?
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তবে বেশি কলা খেতে শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়বে। তখন ওজন কমার বদলে বাড়তে শুরু করবে। কলাতে শর্করাও থাকে প্রচুর পরিমাণে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টার্চ। আর এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াতে পারে। কলাতে ট্যানিক অ্যাসিড আছে, যা বেশি পরিমাণে শরীরে ঢুকলে হজমের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের দিনে ২টির বেশি কলা না খাওয়াই ভালো।
কলায় এত বেশি মাত্রায় শর্করা আছে যে রোজ প্রচুর পরিমাণে কলা খেতে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের তাই রোজ কলা খেতে মানা করা হয়।
হাইপারক্যালেমিয়া
রোজ কলা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘হাইপারক্যালেমিয়া’ বলে। এই রোগে আক্রান্ত হলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কিডনির সমস্যা থাকলে কলা খাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরে ঢুকলে পেশি ও স্নায়ুরও ক্ষতি হতে পারে।
কলাতে টাইরামাইন নামে এক ধরনের যৌগ থাকে, যা বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। যাদের মাইগ্রেন আছে, তাদের কলা না খাওয়াই ভালো। সূত্র: আনন্দবাজার