নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে স্বর্ণ ও রুপার। আগের দিন পণ্য দুটির দাম কমলেও ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি ও ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বন্ড ক্রয় কার্যক্রম সংকোচনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার থেকে আবার নিম্নমুখী হয়ে ওঠে মূল্যবান ধাতুর বাজার।
দাম কমলেও এদিন স্বর্ণের বাজারকে অস্থিতিশীল বলা যাবে না মোটেও। কারণ সারাদিনের লেনদেনে পণ্যটির মূল্য ওঠানামা করেছে সামান্যই। মূলত ইসিবির বন্ড ক্রয় কার্যক্রমে সংকোচনের ঘোষণার পর পরই ইউরোর বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যায়।
ফলে ডলারের সঙ্গে ব্যস্তানুপাতিক বাজার সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নমুখী হয়ে ওঠে পণ্য দুটির দাম। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদ হার বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সামনে রেখে ডলারের বিনিময় হার ও ট্রেজারি ইল্ডের ওঠানামার দিকে কড়া মনোযোগ রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
নিউইয়র্ক কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (কোমেক্স) বৃহস্পতিবার ফেব্রুয়ারিতে সরবরাহের চুক্তিতে স্বর্ণের দাম কমেছে আউন্সে ৫ ডলার ১০ সেন্ট। এদিন এখানে পণ্যটির বাজার স্থির হয় প্রতি আউন্স ১ হাজার ১৭২ ডলার ৪০ সেন্টে। সারাদিনের লেনদেনে পণ্যটির মোট দরপতনের হার দশমিক ৪ শতাংশ।
এর আগে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) শরিয়াহসম্মত স্বর্ণমান নীতিমালা ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবারের বাজারে পণ্যটির দাম বেড়েছিল দশমিক ৬ শতাংশ।
কোমেক্সে এদিন মার্চে সরবরাহের চুক্তিতে রুপার দাম কমেছে আউন্সে প্রায় ১৮ সেন্ট। চুক্তিটির আওতায় বৃহস্পতিবার পণ্যটির সর্বশেষ বিক্রয়মূল্য নেমে দাঁড়ায় প্রতি আউন্স ১৭ ডলার ৯ সেন্টে। দিন শেষে পণ্যটির মোট দরপতনের হার দাঁড়িয়েছে ১ শতাংশে। এর আগে বুধবারের বাজারে রুপার দাম বেড়েছিল ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবারের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান থিংকমার্কেটসের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নাইম আসলাম জানান, এ মুহূর্তে স্বর্ণের দরবৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও তা নিম্নমুখী হয়ে ওঠার প্রধান কারণ ফেডের সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনায়।
চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে ফেডের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা। তিনি বলেন, ‘তবে ফেড সুদহার বাড়ালেই যে স্বর্ণের বাজারে ব্যাপক ধস নামবে বিষয়টা তাও নয়। এ মুহূর্তে বাজারের জন্য যে তথ্যটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো ২০১৭ সালে ঠিক কয়দফায় সুদহার বাড়াতে সক্ষম হবে ফেড।’