নিউজ ডেস্ক:
৩৪২ রানের বড় লক্ষ্যের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব ছিল যাদের, সেই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ডের কাছে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে এদিন ৪৪.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান সংগ্রহ করে মাশরাফিরা।
এর ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।সোমবার ক্রাইস্টচার্চে কিউইদের ৩৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জীবন পাওয়া ইমরুল কায়েস সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। টিম সাউদির আগের ওভারটি মেডেন খেলেন। পরের ওভারে লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লুক রনকিকে। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কিন্তু তাতে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। যদিও আউট হওয়ার আগে ২১ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৬ রান করেন তিনি। তবে তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকার (০১) আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। জেমস নিশামের করা প্রথম ওভার দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর দুই বল পর স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই আবারও উইকেট পতন। এবার আউট মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার শূন্য রানের ফেরার পর সাকিবকে নিয়ে দলকে টেনে তুলার চেষ্টা করেন তামিম। কিন্তু দলীয় ৮১ রানে নিশামের তৃতীয় শিকারে পরিণত দল বিপদে ফেলে আসেন এই টাইগার ওপেনার।
এরপর টাইগারের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন সাকিব ও মুশফিক। কিন্তু অর্ধশতকের পর ফার্গুসনের বলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব (৫৮)। তার জায়গায় ব্যাটে এসে সাকিবের মতো ছক্কা হাঁকানোর পর সাজঘরে ফেরেন সাব্বিরও (১৬)। যদিও শেষ দিকে বাংলাদেশের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন মুশফিক ও মোসাদ্দেক। তবে ব্যক্তিগত ৪২ ও দলীয় ২১৯ রানে মুশফিক রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরলে সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়। এরপর দ্রুত মাশরাফি-মুস্তাফিজরা ফিরে যাওয়ায় সঙ্গীর অভাবে ৩১ বল বাকি থাকার পরও ৫০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মোসাদ্দেকের।
এর আগে, টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের টম ল্যাথাম ও কলিন মুনরোর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৭ রান আসে ল্যাথামের ব্যাট থেকে। এছাড়া কলিন মুনরো করেন ৮৭ রান।
টাইগারদের হয়ে সাকিব তিনটি উইকেট দখল করেন। এছাড়া, দুটি করে উইকেট লাভ করেন মুস্তাফিজ এবং তাসকিন।