শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

গাজায় ‘নরকের দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি দিলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবার ‘নরকের দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজায় এবার হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি মিডিয়া দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের করা প্রতিবেদনে তথ্যটি উঠে এসেছে।

কারহি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন বলেছেন, ঠিক তেমনভাবেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মানবিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে, পানি-বিদ্যুৎ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং জিম্মিরা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। এবার আমাদের সেনাদের ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও চরম উত্তেজনা:

গাজা উপত্যকায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চললেও পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে হামাস জিম্মিদের মুক্তি স্থগিত করেছে।

এ সিদ্ধান্তের পরই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, যদি হামাস আগামী শনিবারের মধ্যে সব জিম্মি মুক্তি না দেয়, যদিও যুদ্ধবিরতি বাতিল হবে এবং গাজায় নরকের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।

মূলত এর পরপরই ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি নেতারা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামাসকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে- শনিবারের মধ্যে সব জিম্মি মুক্তি না পেলে, গাজায় নরকের সব দরজা খুলে দেওয়া হবে।

এ দিকে উগ্রপন্থি দল ওতজমা ইয়েহুদিতের নেতা ইতামার বেন গাভির, যিনি বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রতিবাদে ইসরায়েল সরকারের পদ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি উপেক্ষা করাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট:

গাজা উপত্যকায় ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ১০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। অপর দিকে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

এই উত্তেজনার মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েলের কট্টরপন্থি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও ট্রাম্পের হুমকি নতুন করে সহিংসতার শঙ্কা তৈরি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

গাজায় ‘নরকের দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি দিলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবার ‘নরকের দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজায় এবার হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি মিডিয়া দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের করা প্রতিবেদনে তথ্যটি উঠে এসেছে।

কারহি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন বলেছেন, ঠিক তেমনভাবেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মানবিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে, পানি-বিদ্যুৎ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং জিম্মিরা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। এবার আমাদের সেনাদের ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও চরম উত্তেজনা:

গাজা উপত্যকায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চললেও পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে হামাস জিম্মিদের মুক্তি স্থগিত করেছে।

এ সিদ্ধান্তের পরই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, যদি হামাস আগামী শনিবারের মধ্যে সব জিম্মি মুক্তি না দেয়, যদিও যুদ্ধবিরতি বাতিল হবে এবং গাজায় নরকের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।

মূলত এর পরপরই ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি নেতারা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামাসকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে- শনিবারের মধ্যে সব জিম্মি মুক্তি না পেলে, গাজায় নরকের সব দরজা খুলে দেওয়া হবে।

এ দিকে উগ্রপন্থি দল ওতজমা ইয়েহুদিতের নেতা ইতামার বেন গাভির, যিনি বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রতিবাদে ইসরায়েল সরকারের পদ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি উপেক্ষা করাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট:

গাজা উপত্যকায় ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ১০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। অপর দিকে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

এই উত্তেজনার মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েলের কট্টরপন্থি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও ট্রাম্পের হুমকি নতুন করে সহিংসতার শঙ্কা তৈরি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে।