শিশুকে সঠিকভাবে শোয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শামীমা ইয়াসমীন।
নবজাতকদের দিনরাতের বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটে। তারা দিনরাত মিলিয়ে ১০ থেকে ১৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকে। ক্ষুধা বা অন্য কোনো অসুবিধা হলে জেগে ওঠে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা দিন ও রাতের পার্থক্য বুঝতে-শিখতে শুরু করে।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, বাচ্চারা মায়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমালে কোনো ক্ষতি নেই। বরং এতে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে অর্থাৎ হঠাৎ শরীরের তাপ কমে গিয়ে বিপদ ঘটে না। আবার মায়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমানোর ফলে বুকের দুধ খাওয়ানোও সহজ হয়।শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন কাত বা চিত করে শোয়ানো হয়। কখনোই উপুড় করে শোয়ানো উচিত নয়। উপুড় করে শোয়ালে বাচ্চার নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, বুকেও চাপ লাগতে পারে। নির্দিষ্ট একটি দিকে কাত করে অনেকক্ষণ না রেখে মাঝেমধ্যে এপাশ-ওপাশ করে দিন। অবশ্য যদি কখনো বমি বেশি হয়, তখন বাম দিকে কাত করে শোয়ালে ভালো হয়।
বাচ্চার যদি ঘুমের মধ্যে নাকে শব্দ হয়, তবে বুঝতে হবে শ্বাসনালিতে বাধা তৈরি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গলায় বা নাকে কিছু আছে কি না, দেখে সেটা পরিষ্কার করে দিন। শিশুকে বিছানার যে পাশে দেয়াল আছে, সেদিকে শোয়ান।
শিশুদের জন্য আলাদা আরামদায়ক কাস্টমাইজড বেড পাওয়া যায় বাজারে। এসব বিছানায়ও শিশুকে শোয়াতে পারেন। শিশুর ঘুমের সময় আশপাশে কেউ ধূমপান করছে কি না খেয়াল রাখতে হবে। এতে শিশুর ঘুমসহ শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা হতে পারে। শিশুর ঘুমের সময় বিছানা থেকে ওর কাপড়ের খেলনা, পুতুল, অতিরিক্ত কাঁথা ও বালিশ সরিয়ে রাখতে হবে।