শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

৫৯ বছর আগে মোসাদ গুপ্তচরের ‘ফাঁসি’, দেহাবশেষ চাইছে ইসরায়েল

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:২২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

এলি কোহেন একজন মোসাদের গুপ্তচর। ১৯৬২ সালে সিরিয়ার দামেস্কে ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন। বিলাসবহুল জমকালো পার্টি দিয়ে জিতে নেন মানুষের হৃদয়। পৌঁছে যান ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের কাছাকাছি। মূলত এভাবেই তিনি নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পরিকল্পনা এঁটেছিলেন।

তার জন্ম ১৯২৪ সালে মিশরের আলেক্সজান্দ্রিয়াতে। তার পরিবার মিশরীয় ইহুদি। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হলে কোহেনের পরিবার মিশর ছেড়ে চলে আসে। ১৯৫৭ সালে জায়ানবাদী কার্যক্রমে জড়িয়ে কোহেন মিশরীয় ইহুদিদের ইসরায়েলে আসতে সহযোগিতা করে। পরবর্তীতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীতে কাজ করার পর তাকে ১৯৬০ সালে মোসাদে নিয়োগ দেয়া হয়।

তিন বছর পর দামেস্কের কেন্দ্রে মারজে স্কয়ারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারা হয়। কারণ এলি কোহেনের আসল পরিচয় ততোদিনে জেনে যায় সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। এরিমধ্যে ৫৯ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও তার দেহবশেষ ফেরত চায় ইসরায়েল। কারণ, মোসাদের অত্যন্ত চৌকস সদস্যদের একজন ছিলেন এলি কোহেন। ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছিলেন তিনি।

মোসাদে যোগ দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে নাম বদলে হন কামাল আমিন থাবেত। বরাবরই এই গোয়েন্দা সদস্যের দেশবশেষ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় সিরিয়া।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

৫৯ বছর আগে মোসাদ গুপ্তচরের ‘ফাঁসি’, দেহাবশেষ চাইছে ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০২:৫৪:২২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

এলি কোহেন একজন মোসাদের গুপ্তচর। ১৯৬২ সালে সিরিয়ার দামেস্কে ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন। বিলাসবহুল জমকালো পার্টি দিয়ে জিতে নেন মানুষের হৃদয়। পৌঁছে যান ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের কাছাকাছি। মূলত এভাবেই তিনি নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পরিকল্পনা এঁটেছিলেন।

তার জন্ম ১৯২৪ সালে মিশরের আলেক্সজান্দ্রিয়াতে। তার পরিবার মিশরীয় ইহুদি। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হলে কোহেনের পরিবার মিশর ছেড়ে চলে আসে। ১৯৫৭ সালে জায়ানবাদী কার্যক্রমে জড়িয়ে কোহেন মিশরীয় ইহুদিদের ইসরায়েলে আসতে সহযোগিতা করে। পরবর্তীতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীতে কাজ করার পর তাকে ১৯৬০ সালে মোসাদে নিয়োগ দেয়া হয়।

তিন বছর পর দামেস্কের কেন্দ্রে মারজে স্কয়ারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারা হয়। কারণ এলি কোহেনের আসল পরিচয় ততোদিনে জেনে যায় সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। এরিমধ্যে ৫৯ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও তার দেহবশেষ ফেরত চায় ইসরায়েল। কারণ, মোসাদের অত্যন্ত চৌকস সদস্যদের একজন ছিলেন এলি কোহেন। ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছিলেন তিনি।

মোসাদে যোগ দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে নাম বদলে হন কামাল আমিন থাবেত। বরাবরই এই গোয়েন্দা সদস্যের দেশবশেষ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় সিরিয়া।