ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত ১ অক্টোবর ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, ইরানের শাসকদের মাসব্যাপী ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে দেশটিতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
এক মাস আগে ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এর পর ধারণা করা হচ্ছিল ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাতে পারে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, তেহরানের পশ্চিমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
রেভল্যুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ একটি সংবাদ সংস্থা বলছে, ইরানের রাজধানীর পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হামলার পরিমাণ এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু এখনো স্পষ্ট নয়।
ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেন, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটি গত ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব।
যুক্তরাষ্ট্রের এ বিবৃতির পর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নিউজ ১২ জানিয়েছে, ইরানে ‘দ্বিতীয় দফায়’ হামলা শুরু হয়েছে। ইরানের শিরাজ শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে তারা। এসব হামলায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি ছিল ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা। ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টার জন্য শত্রুদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে গত সপ্তাহে হুমকি দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।